নিজস্ব প্রতিবেদক: দশ দফা দাবীতে রাজশাহী বিভাগীয় বঞ্চিত খেলোয়ার ও কোচবৃন্দদের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী তেরখাদিয়া বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত খেলোয়ার, কোচ ও ক্রীড়া সংগঠকরা বলেন, রাজশাহীতে ক্রিকেটার ও কোচরা বৈষম্যের শিকার। এই খেলোয়ারগণ বলেন তারা সর্বদা হৃদয়ে ক্রিকেট লালন করেন। তারা বলেন নানা ধরনের গিফট করেই অযোগ্যরা জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনে। কেউবা স্বজনপ্রীতির কৌশল অবলম্বন করে। এতে বঞ্চিত হয়েছে যোগ্য টিম, কোচ ও খেলোয়াড়েরা। এমন বৈষম্য দূর করে ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিভগীয় কোচ ও খেলোয়ারগণরা।
শনিবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিসিবির পরিচালক কিসলু, বিভাগীয় ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড় সাকলাইন সজীব, রাজমাহী বিভাগীয় দলের খেলোয়ার অভিষেক মিত্র, ক্রীড়া সংগঠক সাইফুল আজিজ সাজু, বিভাগীয় দলের ক্রীকেট কোচ জামিনুর রহমান, বাংলাদেশ ক্রীকেট দলের লেভেল-২ কোচ ফরিদ হোসেন, ক্রীকেট কোচ ও খেলোয়ার আনোয়ারুল মোস্তাকিন টরে ও সমন্বয়ক কামরান হাফিজ ডিকি ও জুনিয়র নাইস ইসলামসহ অন্যান্য খেলোয়ার, কোচ ও ক্রীড়া সংগঠকগণ।
ক্রিকেটে বৈষম্য দূরীকরণে বিগত কোরাম হটাও রাজশাহী ক্রিকেট বাঁচাও স্লোগানে মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা উল্লেখ করেন ২ ম্যাচে ৮ রান, সে খেলে বিভাগ দলে, ৩ ম্যাচে ৩ উইকেট সে নাকি খেলে ন্যাশনাল লীগে, ১২ ম্যাচে ৮ রান এভারেজ সে বিভাগী দলে ক্যামনে প্রবেশ করে, ১ ম্যাচে ০ রান ০ উইকেট সে আবার জাতীয় ন্যাশনাল লীগে ও দুই ইনিংসে ডাবল জিরো সে আবারও লীগে চাঞ্জ পায় কিভাবে।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে সুযোগ মিলেছে অনেকের। রাজশাহীর ক্রিকেট অঙ্গনে সংস্কার আনতে হবে। ক্রিকেট হোক আমাদের অহংকার। মানববন্ধন করা আমাদের লজ্জাজনক হলেও অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ দাঁড়াতে হলো। যাতে, ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেটের মাধ্যমে যেন দেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
ক্রিকেটার স্যাকলাইন সজীব বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচার সরকারের ছত্রছায়ায় রাজনীতির অপশক্তির বলে রাজশাহীর ক্রিকেট শেষ হয়ে গেছে। ভালো কোন প্লেয়ার সুযোগ পায় না। এখানেও সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের ক্ষমতায় রাজনৈতিক একটি টিমই রাজত্ব করেছে। অন্যান্য টিমের খোঁজখবর কেউ নেইনি। তাঁরা বৈষম্য চান না। মেধাবী খেলোয়াড় তৈরি করতে ক্রিকেটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ক্রিকেটে সংস্কার দাবী করেন।
তাদের দশ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে বিগত ১৫বছরের পুরাতন করামের সকল সদস্য বাদ দিয়ে নতুন সচ্ছ কমিটি গঠন, একটা কমিটি সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদ হবে, জেলা ও বিভাগ টিম শুধুমাত্র পারফরম্যান্স ভিত্তিতে টিম গঠন, প্রতি বছর বিভাগ টিমে অন্তত ২টি করে নতুন প্লেয়ার জেলা হতে পারফরম্যান্স এর ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান, ন্যাশনাল টিম ব্যাতিত ১টা প্লেয়ার সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ১৫বছর টিমে থাকতে পারবে, জবাবদিহিতা ভিত্তিক সিলেক্টর টিম,কোচ এবং ক্যাপ্টেন নির্বাচন করতে হবে, সিলেক্টর, কোচ, ক্যাপ্টেন ব্যাতীত টিম গঠনে অন্যকেও হস্তক্ষেপ করতে পারবেনা, উপরিউক্ত ব্যাক্তিবর্গ টিম নির্বাচনে পারফরম্যান্স ব্যাতীত আত্বীয়করণ গ্রহণযোগ্য হবে না, বিভাগীয় টিমে নিজস্ব বিভাগ হতে যোগ্য কোচ ও ম্যানেজার নিয়োগ করতে হবে এবং অনূর্ধ ১৪ হতে অনূর্ধ ১৮ সহ জেলা ও বিভাগের দুর্নীতিমুক্ত পূর্ণ কমিটি গঠন করার দাবী জানান তারা।