নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৫ আগস্ট রাজশাহীতে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার ওপর দুই হাতে দুইটি পিস্তল দিয়ে গুলি বর্ষণকারী যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী নেতা সেই জহিরুল হক রুবেল ওরফে শুটার রুবেলের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশের চাওয়া ১০ দিনের রিমান্ডের বিপরীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালত-১ (এমএম-১) এর বিচারক ফয়সাল তারিক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১ টায় তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন-১ আদালতে নিয়ে আসা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার এসআই তাজুল ইসলাম তাজ জানান, শুক্রবার রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে র্যাব জহিরুল হক রুবেলকে আটক করে। রোববার সকালে রুবেলকে হস্তান্তর করে র্যাব। রাজশাহী-র্যাব-৫ অফিস থেকে সরাসরি তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে তোলা হয়। রুবেলের অস্ত্রের উৎস এবং সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারকের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিলো। তবে সকল তথ্যপ্রমাণ দেখে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, নাশকতা সহ ১৪ টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ আসামী রাজশাহী মহানগরের চন্ডিপুর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে জহিরুল হক রুবেল (৪১) ও অন্যান্য এজাহারনামীয় ৫০ জন আসামীরা ছাত্র-জনতার মিছিলের উপরে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। ঘটনাটি ঘটে মহানগরীর আলুপট্টি সচ্ছ টাওয়ারের সামনে। জহিরুল হক রুবেল ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী গুলি করতে থাকে।
এ সময়ে শিবির নেতা আলী রায়হানসহ আরো অনেকে আহত হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসকগণ রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার কথা বলেন। ঢাকা যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলেও নিরাপত্তার জন্য ফিরে এসে আবারও রায়হানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় আলী রায়হান মারা যান। এ নিয়ে নিহত রায়হানের ভাই বাদী হয়ে রাজশাহী, আরএমপি, বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা রুজু করে। যার মামলা নং-১৫।
এছাড়াও আসামী জহিরুল হক রুবেল (৪১) মাথায় কালো রংয়ের হেলমেট এবং মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় তার দুই হাতে দুটি পিস্তল দিয়ে একাধারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথারি গুলি করতে থাকে।এতে সাকিব আনজুম শহীদ হন। পরে শহীদ সাকিব আনজুমের বাবা বাদী হয়ে আরএমপি, বোয়ালিয়া থানায় আরেকটি হত্যা মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-৩৩।