নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যহীন সমাজ মানেই হলো সমাজকে কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালনা করা। যতদিন পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্র কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালিত হবেনা ততদিন পর্যন্ত দেশে বৈষম্য চলতেই থাকবে। দেশের শিক্ষানীতি, বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে হলে বর্তমান যারা আছেন বিশেষ করে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোরদের, শোষকদের সরানো প্রয়োজন নতুন ভাবে নিয়োগ দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে। যারা দুর্নীতি করেছে, মানুষের প্রতি জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে তাদেরকে বহাল রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা বৈষম্যহীন করা সম্ভব নয়। “বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ(স.) এর আদর্শ “শীর্ষক এক সেমিনারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আমাদের শুধু বক্তব্য শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা যাবেনা। আমাদের ব্যক্তিগত, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের অনুসরণ করতে হবে। পতিত হাসিনা সরকার সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার নামে দেশের সকল স্তরে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তারা তাদের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষদের কোথাও কোন স্থান দেয়নি। তিনি আরো বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ ইসলামকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ইসলামকে কলঙ্কিত করেছে। সমাজ থেকে ঘুষ,দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করতে হলে তাকওয়া সম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। যাদের মধ্যে তাকওয়া নেই সে সব ব্যক্তি সমাজের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়। তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের সংস্করণের জন্য এ সরকারকে যৌক্তিক সময় দেবার কথা জানিয়ে বলেন, সময়টা যাতে আবার দীর্ঘ না হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধান অতিথি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত রাজশাহীর একটি স্থানীয় মিলনায়তনে সোমবার সকাল ১০টায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে ও মহানগরীর সেক্রেটারী ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের সঞ্চালনায় এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট প্রবন্ধকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মাসুদ আলম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আব্দুল লতিফ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফতি হাবিবুল্লাহ কাশেমী ও অধ্যক্ষ মওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।