নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে ঢাকার আদাবরের নিজ বাসা থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করেছে বলে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সোমবার র্যাবের এক বার্তায় বলা হয়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে একটি মামলায় এনামুলকে আটক করা হয়েছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুনছুর রহমান বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মুনছুরের বাড়ি বাগমারা উপজেলার রামরামা গ্রামে। গত ৫ আগস্ট গুলিতে আহত হয়েছিলেন তিনি। তার দায়ের করা মামলায় দুই নম্বর আসামী করা হয় সাবেক এমপি এনামুল হককে।
এনামুল হক ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালে তিনি দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন। এনামুল হক বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি এনা গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার গ্রামের বাড়ি বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নে সাঁকয়া গ্রামে।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, র্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে ঢাকার আদাবর থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখান থেকে তাকে ঢাকার আদালতে তোলা হবে। সেখানে যদি রিমান্ড মুঞ্জুর করা হয়। তাহলে তাকে রাজশাহীতে নেওয়া হবে। সেখানে রাজশাহী আসতে দুই থেকে চারদিন লেগে যেতে পারে বলেও জানান ওসি।
উল্লেখ্য গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর একে একে আটক হতে থাকেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা।
এদের মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
শনিবার রাতে আটক হন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এরপর রোববার রাতে আটক হন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। সাবেক মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ দুই ডজনের বেশি রাজনীতিবিদ এখন কারাগারে।