নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জোনের বিভাগীয় ছাত্র-নাগরিক মৈত্রী সফরে এসেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের প্রতিনিধি দল। সোমবার সকালে গত ৫ আগস্ট রাজশাহীর ছাত্র আন্দোলনে নিহত আলী রায়হানের কবর জিয়ারত করেন তারা। পরে বাগমারায় তার পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেন। এরপর দুপুরে নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থানে শহীদ সাকিব আঞ্জুমের কবর জিয়ারত করেন এবং তালাইমারীতে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন তারা। এ সময় শহীদদের শোকায়িত পরিবারের খোঁজ খবর নেন সমন্বয়করা।
এরপর তারা বিকেল ৪ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের খোজ খবর নেন। এসময় সমন্বয়ক মাহিন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আহতদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে। গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেটা ছাত্র-জনতা কে ভুল বুঝানো হচ্ছে। তা দ্রুতই মিটে যাবে।
সফরের অংশ হিসেবে বিকেল ৪ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আহতদের সাথে সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। পরে সেখানে ছাত্র-নাগরিকদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে যুক্ত হন তারা। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ও নিহতদের রাষ্ট্র্রীয় স্বিকৃতি দাবি সহ যাদের মরদেহ এখনও মেলেনি তাদের নাম উদ্ধার ও তদন্ত কমিটি করে শহীদদের তথ্য বের করার দাবি জানিয়েছেন সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচীর মধ্যে রাজশাহী জেলার শহিদ ও আহত পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। বেলা সাড়ে ৪টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আহত ও নিহতদের পরিবারের স্বজনদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ কেমন হবে? এ শীর্ষক যদি কোন আলোচনা হয় তাহলে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে আন্দোলনে আহতদের ও নিহতদের পরিবারের সদস্যকে।
এছাড়া দ্রুত গুম হওয়া আন্দোলনকারীদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দেবার দাবি জানান তিনি। সেইসাথে স্বাস্থ্য খাতে আরও জোর দিয়ে জরুরী সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি । অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কুররাতুল আইন কানিজ, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেহেদী সহ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, বিইউপি, এনএসইউ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩২ জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী জেলার আন্দোলনে আহত ১২০ জন আন্দোলনকারী এবং নিহত দুই সদস্যের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।