নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে শামীন হোসেন নামে এক ভূক্তভোগি সম্মেলন করেছেন। চাকরী দেয়ার নামে টাকা নিয়ে চাকরী না দিয়ে এখন চাঁদাবাজ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এবিষয়ে তিনি রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শামীম হোসেন উল্লেখ করেন রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতির সাথে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সাক্ষাত ও পরিচয় হয়। সেখানে তিনি বিয়ের ভিডিওর কাজ করার সময় সাইদুর রহমান বলেন, তোমাকে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে একটি ভাল চাকরীর ব্যবস্থা করে দেবো। তিনি রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি। তিনি শত শত সাংবাদিক তৈরী করেছেন। তাঁর অনেক ক্ষমতা। এছাড়াও সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান এর সাথে তাঁর খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন তিনি তাঁর কথায় আদৃষ্ট হয়ে একটি চাকরীর ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি বলেন, এমনিতো আর চাকরী হবেনা। চাকরী নিতে টাকা লাগবে। সাইদুর রহমান পাঁচ লক্ষ টাকার কথা বলেন। তখন তিনি চাকরীর আশায় অন্যের নিকট হতে ধার দেনা করে, এমনকি সুদের উপরে টাকা নিয়ে তাকে সাড়ে তিন লক্ষ ক্যাশ টাকা তুলে দেন তার হাতে। সে সময়ে সাইদুর রহমান দুই লক্ষ টাকার একটি চেক দেন। চেক দেয়ার সময় তিনি বলেন, চাকরী হলে তুমিতো আরো দেড় লক্ষ টাকা দিবা। এজন্য তোমাকে দুই লক্ষ টাকার চেক দিলাম। এটা যে আরেক প্রতারণা ছিলো তিনি তা বুঝে উঠতে পারেননি বলে জানান।
শামীম বলেন, তিনি চাকরী না দিয়ে ঘুড়াতে থাকেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলে তাঁকে ছাত্র-জনতা প্রেস ক্লাব থেকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যান। এরপর থেকে তাঁকে অনেক খোঁজাখুজি করে একটি স্থানে পাওয়ার পরে টাকার জন্য চাপ দিলে তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর নামে এক লক্ষ টাকার একটি চেক দেন তাকে। সেইসাথে টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে বলেও দেন। চেক নিয়ে একইদিন বিকেলে অত্র ব্যাং হতে টাক উত্তোলন করে নিয়ে আসি।
এরপর রাত ৮টার দিকে তাঁর নামে চাঁদাবাজ বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে একটি পোস্ট দেওয়ান সাইদুর। সেখানে তিনি লিখেন তার বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক অস্ত্র ঠেকিয়ে তার নিকট হতে এক লক্ষ টাকার চেক ও সোনার গহনা জোরপূর্বক নিয়ে এসেছেন। শামীম আরো অভিযোগ করে বলেন, তিনি তার নিকট টাকা পাবেন। সেই টাকার মধ্যে এক লক্ষ টাকার চেক তিনি নিজেই স্বাক্ষর করে দিলেন এবং ব্যাংকে সঙ্গে সঙ্গে বলেও দিলেন। অথচ টাকা উত্তোলনের পরে তিনি চাঁদাবাজ হয়ে গেছেন। এই দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রতারক ও ভূমিদস্যু সাইদুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি। সেইসাথে অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।