নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম সারির অধ্যক্ষ ছিলেন জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা। বিশেষ করে রাজশাহীর প্রাক্তন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও তাঁর পত্নী শাহিন আক্তার রেণীর একান্ত অনুগ্রহে লালিত এই অধ্যক্ষ। দীর্ঘ পাঁচ বছর রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনিই ৫ আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর জোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসার। অথচ পাঁচ বছরে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে যে পরিমান কাজে অকাজে প্রোগ্রাম করেছেন যা ছিটেফোটাও রাজশাহীর অন্য কোন সরকারি কলেজে হয় নাই। পট পরিবর্তন হলেও তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশী সুবিধা ভোগ করেছেন তিনি। এবারে খোলস পাল্টানোর চেষ্টা করছেন। কর্তা ব্যক্তিদের খোঁজ নিয়ে জানা দরকার রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের হিসাব নিকাশে কোন ব্যত্যয় আছে কিনা।
এদিকে শিক্ষাখাতের সংশ্লিষ্টরা জানান, অধ্যাপক আনারুল হক প্রাং এর মতো একজন বিতর্কিতকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন এবং যোগদানের আড়াই ঘন্টার মধ্যেই ছাত্রবিক্ষোভের জন্য পদত্যাগ করতে তিনি বাধ্য হয়েছেন। রাজশাহীর শিক্ষিত ও সচেতনমহল আশঙ্কা করছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে পদায়ন পেলেও অধ্যক্ষ জুবাইদা আয়েশার ক্ষেত্রেও এমনটিই ঘটতে পারে।
এব্যাপারে জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, একটা মহল এভাবেই প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন। ‘আমি শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান হতেই চাই না। শোনা যায়, রাজ্যের অনিয়ম চলে শিক্ষাবোর্ডে। তাঁর মত মানুষের ওখানে গেলে দুর্নাম হবে। তাই শিক্ষাবোর্ডে যাওয়ার কোন ইচ্ছা তাঁর নাই। এছাড়াও তাঁর চাকরির আর ৫ মাস সময় আছে। সম্মানের সাথে এখান থেকে বিদায় নিতে চান তিনি। আর শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ইচ্ছা থাকলে এর আগেও সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি চেষ্টাই করেননি বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এটা সরকারি চাকরি। অনেক মানুষের সাথে তাঁর পদের জন্য সম্পৃক্ত থাকতে হয়। মিলে মিশে চলতে হয়। এটা কোন অপরাধ নয় এবং দলীয় প্রীতি নয়। আর তাঁর চাকরিই হয়েছিল বিএনপির আমলে। এদিক থেকে তো বিএনপির প্রতি তাঁর সফট কর্ণার থাকতে পারে। আসলে ওগুলো কোন বিষয় নয়। কোন একপক্ষ তাঁর মর্যাদা ক্ষুন্নের চেষ্টা চালাচ্ছেন বল উল্লেখ করেন তিনি।