নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর হেতম খাঁ এলাকায় অবস্থিত সামসুন্নাহার ইসলামী মাদ্রাসা রক্ষায় রাজশাহী বিভাগীর কমিশনার ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন এলাকাবাসী। এই স্মারকলিপি প্রদানের ফলে বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বললে জেলা প্রশাসক রাজশাহী সদর বোয়ালিয়া ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা প্রদান করলে সোমবার বেলা ১১টার দিকে অত্র ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার গোলাম মাহবুব মাদ্রাসায় আসেন এবং মাদ্রাসা রক্ষায় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।
এসময়ে মাদ্রাসার কমিটির সভাপতি সিরাজ উদ্দিন আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন। এছাড়াও মাদ্রাসা রক্ষায় এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দল রাজশাহী শরফুজ্জামান শামীম, ওয়াহিদুল কাওসার টিপু, হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, ইউসুফ আলী, আনিস, নাজমুল, শাহীন, শুকুর আলী, জামান, মুন্না, তুহিন, কুদ্দুস আলী, তপু, মলি, রিমা, সেতারা, দিনা, মেহেতাজ আহমেদ, তুহিনুল ইসলাম ও আবিরসহ অত্র এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী সার্ভেয়ারের সামনে অভিযোগ করে বলেন, মূল মালিক তাহার জীবনদশায় মুসলমান জনসাধারণের ধর্মীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি দান বা উৎসর্গ করেন। গত ১৯৮৮ সালের ১৬ জানুয়ারী ইং তারিখে ওয়াকফ লিল্লাহ দলিল নং ৫৪১/৮৮ মূলে সামসুন্নাহার ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবরে দলিল সম্পাদন কওে দেন। সে মোতাবেক অত্র এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতায় ও সরকারী অনুদানে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়ে আসছিলো।
কিন্তু গত ২০০৮ সাল এর পর থেকে কমিটির হেতম খাঁ সামসুন্নাহার ইসলামিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনসইটটিউট এর প্রিন্সিপাল সৈয়দ সাদাকাতুল বারী মামুন ও পরিচালক সৈয়দ আহমেদ জাকী মিলে সু-কৌশলে সাবেক কাউন্সিলর ক্ষমতার অপব্যবহার করে কমিটির অন্যদের সহযোগিতায় মাদ্রাসায় একটি পকেট কমিটি গঠন করে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। যা সাধারণ এলাকাবাসী কেউ জানেন না।
এই অবৈধ কমিটি মাদ্রাসার ধর্মীয় শিক্ষার কার্যক্রম বন্ধ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পলিটেকনিট ইন্সস্টিটিউটকে ভাড়া দিয়ে ১৬-১৭ বছর যাবৎ ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করে এযাবৎকাল অবধি অবৈধভাবে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষার দিক বিবেচনা করে বন্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকায় সাধারণ জনগণ একত্রিত হয়ে পুনরায় চালুর উদ্যেগ গ্রহণ করেন।
সার্ভেয়ার গোলাম মাহবুব বলেন, তিনি এলাকাবাসীর কথা শুনেছেন। এখন কমিটির সাথে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরী করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে জমা দেবেন। তিনি ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থ্যা নেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য এ বিষয়ে গত ২১-০৮-২০২৪ ইং তারিখে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারবলিপির মাধ্যমে প্রতিপক্ষের অবৈধ কার্য্যক্রম বন্ধসহ বিগত দিনের হিসাব তলবান্তে মাদ্রাসা চালুসহ প্রতিপক্ষ গণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানান তারা। বিভাগীয় কমিশনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপস্থিত জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরন করেন। সেইসাথে দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রতিষ্ঠান উদ্ধার করে পূর্বের কার্যক্রম চালু করার কথা বলেন। এই কাজে তাঁর সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।