নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর আয়তন প্রায় ৯৮বর্গ কিলোমিটার। আর এর লোক সংখ্যা প্রায় ১০লাখ। এই ১০ লাখের সাথে প্রতিদিন বাহিরে থেকে যাতায়াত করে প্রায় লক্ষাধীক লোক। এর মধ্যে চিকিৎসা সেবা ও লোখাপড়া করাসহ বিভিন্ন কারনে তারা আসেন। আবার শহর থেকে প্রতিদিন কর্মের জন্য লোকজন রাজশাহী মহানগরীর বাহিরে যান। শুধু তাই নয় অনেকেই আবার শহরের বাহিরে সপ্তাহব্যাপি বসবাস করেন। ছুটির দিনে হয়তাবা শহরে প্রবেশ করেন। এমনটা করে দেখা যায় শহরের লোকজনের বাহিরে যাওয়া এবং বাহিরের লোকজন শহরে আসা প্রায় সমান সমান হয়ে যায়।
জনগণের এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় শহরের যাতায়াতের জন্য যে রাস্তা রয়েছে তা যথেষ্ট। এই সকল রাস্তা দিয়ে জনগণ প্রতিদিন অনায়াসে চলাচল করতে পারেন। কিন্তু অকারনে সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ফুটওভার ব্রীজ করেছেন মোট আটটি। এর মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং বুধবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত ৬টি ফুটওভার ব্রীজের উদ্বোধন করা হয়।
এদিন সকাল ১০টায় নগরীর লক্ষ্মিপুর মিন্টু চত্বর ও নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ গেট সংলগ্ন দুটি ফুটওভার ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এছাড়াও নওদাপাড়া বাজার, তালাইমারী মোড়, বিনোদপুর মোড়, অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখের ফুটওভার একইদিনে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেই নগরীর মনি চত্বর ও মিশন গার্লস স্কুলের সম্মুখের ফুটওভার ব্রিজের কাজ চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই এগুলোর কাজ সম্পন্ন হবে বলে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক জানা গেছে। রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই ফুটওয়ভার ব্রীজ তৈরী হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় দুটি প্যাকেজে প্রায় ৫০ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ৮টি ফুটওভার নির্মাণ করেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাসুদ স্টিল ডিজাইন বিডি লি. ও এমএসসিএল এ্যান্ড এমএসডিবিএল। এবিষয়ে বিভিন্ন এলাকার পথচারী যেমন, সাইফুল ইসলাম, হিরক, আজাদ, সোহেল রানা, আবু আক্কাস, আবীর, জাহাঙ্গীর আলম, সমি আক্তার, রোমেলা বেগম ও তন্নি আক্তার সহ একাধিক পথচারী বলেন, এই সময়ে ফুটওভার ব্রিজগুলো করা সঠিক হয়নি। কারন যে সকল রাস্তার উপরে ফুটওভার ব্রীজ করা হয়েছে ঐ সকল রাস্তা দিয়ে পারাপার হতে কোন প্রকার বেগ পেতে হয়না। কারন রাস্তা গুলোতে যানজোট লাগেনা। আর লক্ষ্মীপুরে যেখানে ওভারব্রীজ করা হয়েছে সেটাও ভূল স্থানে করা হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে এই মুহুর্তে রাজশাহীতে ফুট ওভারব্রীজের কোনই প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেন তারা।
তারা আরো বলেন, রাজশাহীতে অনেক বেকার যুব সমাজ রয়েছে। তাদের কর্মসংস্থান করার জন্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মনোযোগ না এগিয়ে অপ্রয়োজনীয় কাজ তিনি বেশী করেছেন।আর সেখান থেকে তিনি তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কমিশন খেয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা এক কাজ বার বার করেছেন। এক রাস্তা করে ছয় মাস জেতে না জেতেই আবার টা ভেঙ্গে আরেক কাজ করেছেন। এমন অনেক নজির আছে বলে জানান তারা। এছাড়াও প্রতিটি কাজ তার আমলে সব থেকে নিম্নমানের হয়েছে বলে তারা জানান। তারা সকলেই সাবেক মেয়রের তৈরীকৃত অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়ার জন্য রাসিক প্রশাসকের নিকট অনুরোধ জানান।