নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র রাজনীতি নয় অপরাজনীতিতে অতিষ্ঠ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানালেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, সালেহ্ হাসান নকীব। শনিবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের শিখিয়েছে একক কোনো সিদ্ধান্ত কল্যাণ বয়ে আনে না। ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেব। এ ক্যাম্পাসে রাজনীতিমুক্ত ও একস্ট্রা কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের সঙ্গে জড়িত যেসব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে আমরা তাদের সঙ্গে আগে কথা বলব। তারপর ক্যাম্পাসের ছোট হোক বা বড় হোক যত রাজনৈতিক সংগঠন আছে তাদের সঙ্গে বসব। এরপর ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে বসে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটা কাঠামো তৈরি করব। এরপরই তা চূড়ান্ত করব।
রাবি উপাচার্য বলেন, আমি মনে করি ছাত্র রাজনীতি বন্ধ বা রাজনীতি বিলুপ্তির যে মতামত তৈরি হচ্ছে তা রাজনীতির বিরুদ্ধে না, এটা অপরাজনীতির বিরুদ্ধে। এতদিন যে রাজনীতি ছিল তাকে রাজনীতি বলা যাবে না, বরং তা হলো মাফিয়াতন্ত্র ও সিন্ডিকেট। এটা আমাদের ছাত্রসমাজকে অতিষ্ঠ করে দিয়েছে এবং অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কাজেই তারা যখন বলে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, তখন রাজনীতির নামে যে অপরাজনীতি হয়ে এসেছে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলে। তবে রাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে আর কখনো কোনো মাফিয়াতন্ত্র চলবে না।
মতবিনিময়কালে গণমাধ্যম কর্মীরা নির্মাণকাজে অনিয়ম ক্যাম্পাসে রাজনীতির গুণগতমানের উন্নয়ন ছাড়াও ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জট নিরসন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা, আবাসিক হলগুলোতে আসন বণ্টন ও সেখানে খাবারের মান ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরে উপাচার্য জানান বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাবি উপাচার্য আরও বলেন আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দ বিধিবদ্ধ নিয়মে করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া হলে খাবারের মান উন্নয়নের বিষয়েও কর্তৃপক্ষ হল প্রশাসনের সঙ্গে মিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।
মতবিনিময়কালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. শেখ সা’দ আহমদ, প্রক্টর প্রফেসর মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর আখতার হোসেন মজুমদার ও শিক্ষকরাসহ আরও অনেকেই অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।