নিজস্ব প্রতবেদক: আন্তজার্তিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত করে দেবার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। দুই ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধনে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকেও সংহতি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, বিশ্বের ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ এবং কোথাও কোথাও উন্মুক্ত। অথচ বাংলাদেশে ৩০ বছর পেরুলেই সার্টিফিকেট অকেজো হয়ে যায়। এটি শিক্ষার সাথে প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। আবার বাংলাদেশে করোনা মহামারির কারণে আড়াই বছর গেছে। প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ রকমের সেশনজট রয়েছে। তাছাড়া ছাত্র জনতার আন্দোলন, বন্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রভৃতি কারণে শিক্ষার্থীদের জীবনে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।
মানববন্ধনে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক পরিষদের সদস্য আবু সাঈদ সাদ বলেন, বিশ্বের সকল দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ এবং কোথাও কোথাও উন্মুক্ত করে দিয়ে তারা বিশ্বের বুকে সফল জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাই বাংলাদেশে সেশনজট, করোনা মহামারি, শিক্ষা বৈষম্য, দুর্নীতি এবং আন্দোলন সংগ্রামের ফলে সময়ক্ষেপন পুশিয়ে নিতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ করতে হবে। এতে করে বাংলাদেশ গবেষণায় এগিয়ে যাবে। বৈষম্য দূর হবে।
মানববন্ধনে সাব্বির আহমেদ নামে একজন সমন্বয়ক বলেন, বিগত ফ্যাসীবাদী সরকার শিক্ষার্থীদেরকে দমন পীড়ন করে এবং দলীয় লোক নিয়োগ দিয়ে বয়স বৈষম্য প্রকট করেছে। এই মুহুর্তে তাই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করা অত্যন্ত যৌক্তিক। ৩৫ প্রত্যাশী রুবেল আহেমদ বলেন, প্রতিটি যৌক্তিক বিষয় নিয়ে আন্দোলন করার সংস্কৃতি আর কতদিন চলবে? তাই বিপ্লবী সরকারকেই এর সুরাহা করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ৩০সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহাবাগ প্রজন্ম চত্বরে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের সমাবেশ রয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত সবাইকে সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।