নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যদার (১০ গ্রেড) করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকেরা। পবা উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এসময় তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন প্লেকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে করে নিয়ে আর স্লোগানে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যদার (১০ গ্রেড) করার এক দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষকেরা ‘শিক্ষক যদি জাতি গড়ার কারিগর হয়, ২য় শ্রেণীর মর্যাদা কেন নয়।’ ‘এক দফা এক দাবি ১০ম গ্রেড ও পদোন্নতি।’ ‘আমাকে অর্থনৈতিক মুক্তি ও মর্যাদা দাও আমি সমৃদ্ধ জাতি গড়ে দেব।’ ‘নতুন এই বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’। ‘বৈষম্যে নিপাত যাক প্রাথমিক শিক্ষা মুক্তি পাক।’ ‘মাথায় নিয়ে ঋণের বোঝা, পাঠদান করা কি এত সোজা’-এমন নানা স্লোগান দেন তাঁরা।
বক্তারা বলেন, শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্য কেন? তাঁরা বর্তমান সরকারের আমলে বৈষম্য দুরীকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও পদোন্নতির এবং দশম গ্রেডে বেতন দেয়ার দাবী জানান।
উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কর্মসূচির আহবায়ক পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ এর নেতৃত্বে ও শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দামকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আমিন।
এসময় বক্তব্য রাখেন বায়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পাপিয়া খাতুন, সাদিয়া খাতুন নাজমা, বড়গাছী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুকলেস, জাকারিয়া, খড়খড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানিয়া, নার্গিস, পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবিরুল ইসলাম, মারুফা, খাইরুন্নেসা, বেতকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামিম রেজা, মুশরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম, দুয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুন নবী, মঞ্জুর রহমান, সিন্দুর কুসম্বী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম রনজু।
উপস্থিত ছিলেন মধুসুদনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুন মনিরা, চৌবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুমানা, দামকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোহা মোহাম্মদ ইয়াসিন সরকার, শামিম রেজা, দর্শনপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইস্রাফিল সরকার, বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুনজুর রহমান, দাদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রোজীনা খাতুন।
আরো উপস্থিত ছিলেন ইটাঘাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মতিউর রহমান, বাগধানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইমরুল কায়েস, নওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানা মান্নান, শিতলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুফিয়া খাতুন, কাপাসিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তসলিমা তমা ও বাগসারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমাপ্তি সরকারসহ পবা উপজেলার ৮৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৫৮৭ জন সহকারী শিক্ষক।