নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার সিলিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌনহয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। আর এই কাজ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সামনের মুদি দোকানী সিলিন্দা এলাকার ষাটোর্ধ আনোয়ার হোসেন। বিদ্যালয়ে একাধিক মেয়ে শিক্ষার্থীরা বলে, তারা টিফিনে কিংবা অন্য সময়ে তার দোকনে গেলে গায়ে হাত সহ নানা ধরনের অশ্লিল কথা বলেন। সেইসাথে নানা ধরনের অঙ্গ ভঙ্গি করেন বলে জানায় তারা। আর এই কাজ আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে করেন বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবক এজাজুল হোসেন বলেন, এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে তাঁর মেয়ে পড়ে। তার সাথেও এই ধরন আচরন করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ অভিভাবক স্বপন, সোহেল রানা, আসাদুল হক ও মুকুলসহ অন্যান্য অভিভাবকগণও করেন। তারা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে আনারুল এই ধরনের কাজ করে গেলেও তারা জানতেন না। গত মঙ্গলবার দুপুরে তারা জানতে পারেন। এর মধ্যে আনোয়ার হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে এলাকা ছাড়া হয়েছেন বলে জানান তারা। অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা আনারুলের কঠোর শাস্তি এবং বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মুদি দোকান উচ্ছেদ করার দাবী জানান।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুন্নুজান খাতুন বলেন, তিনি বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে জানতে পেরেছেন। সে সময়ই পদক্ষেপ নিতে যেয়ে পারেননি। স্কুল ছুটির পূর্বে চেয়ারম্যান এসেছিলের রাস্তা পরিদর্শনে। তবে তিনি চেয়ারম্যানকে সে সময়ে জানাননি। পরে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জানানোর চিন্তা করতেই স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার কারনে আর কিছু করতে পারেননি। বুধবার সকালে অভিভাবকগণ তাঁর নিকট আসেন এবং এ বিষয় নিয়ে তারা কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার স্কুল পরিচালনা পর্যদ স্থানীয় চেয়ারম্যান,সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বসে আলোচনা অন্তে ঐ যৌননিপিড়নকারী আনোয়ার হোসেনের কঠোর শাস্তির ও বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মুদি দোকান উচ্ছেদ এর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সবার সিদ্ধান্তে আনোয়ার হোসেন বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বল জানান প্রধান শিক্ষক।