নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী ছাত্র জনতার ব্যানারে দূর্নীতিবাজ, আওয়ামী সিন্ডিকেড অফিসারদের অপসারণের দাবীতে রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের সামনে বুধবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক শাওন, শাহ্ মখদুম থানার বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজশাহী যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, যুবদল নেতা মিলন, পরাগ, পারভেজ, রান্টু, শ্যামল, জীবন, শ্যামল শেখ, জয়নাল আলমাস, বিশাল, রন, রোকন ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে তারা বলেন, রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী , কলেজ শাখার সহকারী পরিচালক আলমাচ উদ্দিন, বিধি বহির্ভূত ভাবে এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সমন্বয় এমপিও প্রদানে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সীমাহীন দূর্ণীতি করেছেন। এর প্রমানস্বরুপ তারা বলেন, রহমত ইকবাল ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ( কৃষিবিজ্ঞান ) শাহেন শাহ, এই প্রভাষকের কৃষিবিজ্ঞান ডিগ্রির সনদ জাল সনদ হওয়া সত্ত্বেও এবং মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে সমন্বয় এমপিও প্রদান করা হয়েছে।
শুধু তাই নয় জয়পুরহাট মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক লিপি মন্ডল, নওগাঁর মহাদেবপুর গাঙ্গুরিয়া ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আশরাফ আলী ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মনিরুজ্জামান, নওগাঁ পত্নীতলার কৃষ্ণপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শামীম হোসেন চৌধুরী রাজশাহী কাকনহাট মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক নাদিরা খাতুন ও বাংলা বিভাগগের প্রভাষক সাবিহা সুলতানা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে সমন্বয় এমপিও প্রদান করা হয়েছে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারা ।
এই অনিয়মের সাথে জড়িত পরিচালক ড. বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী ও কলেজ শাখার সহকারী পরিচালক আলমাচ উদ্দিন এবং তাদের অর্থ সংগ্রহকারী হিসেবে সহায়তা করেন সেসিপ প্রকল্পের কর্মকর্তা গবেষণা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র প্রামানিক, সহকারী পরিদর্শক, আসমত আলী এবং সহকারী পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম। উপরোক্ত সকল কর্মকর্তাদের সকলকে অবিলম্বে এখান থেকে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের পরিচালক প্রফেসর বিশ্বজিৎ ব্যানার্জী এর নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগগুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, চাঁদাবাজি এবং পদ দখল করার জন্যই ঐ ব্যক্তিগুলো এগুলো করছেন। আর তথ্য ছাড়া নিউজ করলে ঐ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা করবেন বলে হুমকীও দেন। সেইসাথে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেয়ার জন্য বলেন তিনি।