শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পবার হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ রাজশাহী স্যানেটারি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির বনভোজন রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ইউসেপ রাজশাহী অঞ্চলে সোশ্যাল ইনক্লুশন টিমের নেটওয়ার্কিং সভা নারীর উন্নয়ন পুরুষদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়:কেয়া খান ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ড্যাব) রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন আহত বিএনপি নেতা শাওয়াল এর পাশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ পতিত সরকারের দোসররা দেশে আবারও বিশৃংখলা করার পাঁয়তারা করছে:ঈশা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

  • প্রকাশ সময় বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের ভেড়িপাড়া এলাকায় প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। তাতে রাজশাহী মহানগরসহ জেলার ৯টি উপজেলার কয়েক শ সহকারী শিক্ষক অংশ নেন।

সমাবেশে শিক্ষকেরা বলেন, শিক্ষকেরা হলেন জাতি গড়ার কারিগর। তাঁরা কেন এখনো ১৩তম গ্রেডে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে পড়ে রইবেন? এই গ্লানি তাঁরা আর বইতে পারছেন না। দশম গ্রেডে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা পাওয়া তাঁদের অধিকার। তাঁদের এ যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু বিগত সব সরকারের আমলে প্রাথমিকের শিক্ষকেরা লাঞ্ছনা, বঞ্চনা আর অবহেলার শিকার হয়েছেন।

সমাবেশে রাজশাহী পিটিআইয়ের শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, আমরা কঠোর শ্রম দিই। আমাদের মেধা আছে, সততা আছে। শুধু নেই অর্থনৈতিক মুক্তি। আমাদের এখনো নুন আনতে পান্তা ফুরায়। অথচ আমরাই নাকি জাতি গড়ার কারিগর। আমরা দশম গ্রেড দাবি করলে অর্থনীতিবিদেরা বলেন, এত শিক্ষককে এত বেশি টাকা দেওয়া যাবে না। দেশ থেকে যখন কোটি কোটি টাকার পাচার হয়ে যায়, তখন এই অর্থনীতিবিদেরা কোথায় থাকেন? আমাদের কষ্ট হয়, আত্মমর্যাদার জন্য এভাবে রাস্তায় নামতে হয়।’

মোহনপুর থেকে আসা সহকারী শিক্ষক গোলাম মাওলা বলেন, ‘আমরা শিক্ষক। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছোট বাচ্চাদের পড়াই। দিন শেষে ভাবি, আমরা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। আমরা কেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে থাকব? আমরা তো দ্বিতীয় শ্রেণি ডিজার্ভ করি। পুঠিয়া থেকে আসা সহকারী শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাই যদি জাতির মেরুদণ্ড হবে, তবে শিক্ষকেরা কেন এখনো “থার্ড ক্লাস?” এই থার্ড ক্লাসের গ্লানি আমরা বয়ে বেড়াতে পারছি না।’

তানোরের সহকারী শিক্ষক মতিউল ইসলাম শিশির বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার সরকার সব স্তরে বৈষম্যের সৃষ্টি করে গেছে। তারা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে একসঙ্গে ১৪ হাজার রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছে। নতুন এসব স্কুলের শিক্ষকদেরই প্রধান শিক্ষক করা হয়েছে। আমরা বছরের পর বছর চাকরি করলেও পদোন্নতি নেই। আমরা আজও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পাইনি। আমরা লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অবহেলিত। এবার রাস্তায় নেমেছি। অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।’

সমাবেশে শিক্ষকেরা ‘এক দফা এক দাবি, দশম গ্রেড দশম গ্রেড’, ‘নোবেল বিজয়ীর দেশে, শিক্ষক কেন রাস্তায় বসে’, ‘যারা জাতি গড়ার কারিগর, দশম গ্রেড তাদের অধিকার’, ‘শিক্ষকের সঙ্গে বৈষম্য, চলবে না চলবে না’, ‘মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে, পড়ানো কি এত সোজা’সহ নানা স্লোগান দেন।

গোদাগাড়ীর ডোমকুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাঘা থেকে আসা সহকারী শিক্ষক ফজলুর রহমান, পবার সহকারী শিক্ষক শাহানা মান্নান প্রমুখ। সমাবেশে শিক্ষকেরা সমস্বরে ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট’ গানটি গান। এরপর তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান। সেখানে শিক্ষকদের প্রতিনিধিদল এক দফা দাবি আদায়ে একটি স্মারকলিপি দেন।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin