নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের লোকজন ইউপি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ভূমিদস্যুর যে ট্রেন চালু করেছিল তা থেকে জনগণ অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর একটু একটু করে প্রশাসনের সহায়তায় মুক্ত হতে শুরু করেছে। রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার ৫ নং বাকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান মান্নানের অন্যতম সহযোগী জালাল মহানগর মৌজার জে এল নং ১৩৭ এ বাংলা মাপে ৯ বিঘা পুকুর জোর পূর্বক দখল করে গত তিন বছর যাবত মৎস্য ব্যবসায়ীদের লীজ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ করেন রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়াধীন কাদিরগঞ্জ এলাকার মৃত নিজামুল ইসলাম খান অথেল এর স্ত্রী হাসনা হেনা।
হাসনা হেনা বলেন, তাঁর স্বামী গত ৪এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে হৃতযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। মারা যাওয়ার পর তিনি ও তার পুত্র নাজমুল ইসলাম খান অপুর্ব (১১),ওয়ালিদ ইসলাম খান (৫) ও কন্যা অহনা আফরিন ফেরদৌসী (৭) ঔরস সূত্রে তাঁর স্বামীর স্থাবর অস্থাবর সকল সম্পদ ও সম্পত্তির মালিকানা লাভ করেন। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই আওয়ামী ভুমিদস্যু মান্নান চেয়ারম্যান এর ঘনিষ্ট সহযোগী রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার মহানগর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে জালাল তাঁর স্বামীর নামীয় উল্লেখিত মৌজায় বাংলা মাপে ৯ বিঘা পুকুর জোর পূর্বক দখল করে মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিকট লীজ দিয়ে টাকা গ্রহণ করে আসছিল। কিন্ত তারা আওয়ামী লীগের লোক হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও ছিল না। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। সারাদেশের ন্যায় মোহনপুরেও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী গা ঢাকা দেয়।
গত ৬ শনিবার মৌরস সূত্রে প্রাপ্ত মৃত নিজামুল ইসলাম খান ওথেল এর স্ত্রী হাসনা হেনা উক্ত আওয়ামী ভুমিদস্যু জালালের নামে মোহনপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহনপুর থানার এস আই জুবায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে হাসনা হেনাকে ত্ার স্বামীর নামীয় পুকুর সরেজমিনে বুঝে নেবার আহ্বান জানান। এরপর শনিবার দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে একজন সার্ভেয়ার সহ পুকুরে তিনি যান এবং মাপ জোক করে সীমানা প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করেন।
আশেপাশের একাধিক গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় অথেল মৃত্যুর পর ভুমিদস্যু জালাল পুকুরটি কিনেছেন মর্মে সকলকে জানালেও তিনি কোন জমির কাগজপত্র হাজির করতে পারেন নি। এস আই জুবায়ের জালালকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে আসার জন্য ডাকলেও তিনি অনেক দূরে আছেন এবং আসতে পারবে না বলে জানান। এ বিষয়ে জালাল এর নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে কোন বক্তব্য প্রদান করেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ভুমিদস্যু জালালের নামে মোহনপুর থানায় মামলা থাকায় সে পলাতক রয়েছে। তবে তাকে এলাকায় দেখলেও পুলিশ তাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেননি। স্থানীয় জনগণ ও পুকুরের মালিক ভূমি জালালকে আটকের জোর দাবী জানান।