নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর ভদ্রা আবাসিক এলাকার সাত নম্বরের একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। সরজেমিনে সেখানে গেল জানা যায় অত্র রোডের একটি ভবনের একটি ফ্লাটে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অন্তর্গত রাজশাহী মহিলা সহায়তা কমসূচীর সহকারী পরিচালক মাহবুবা সুলতানা বসবাস করেন। কি কারনে হমলা চলিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদনি পূর্বে তাঁর অফিসে বার থেকে তের বছরের একটি মেয়েকে রাসিক এক নারী কাউন্সিলর নিয়ে আসে সহায়তার জন্য। তার নাম আয়েশা সিদ্দিকা, পিতা-গোলাম মোস্তফা, বািড় নওগাঁ জেলার পলিহার ইউনিয়নের।
এ বিষয়ে মাহবুবা সুলতানা আরো বলেন, হঠাৎ করে ঐ মেয়ের বাবা এবং দাদা মিলে তাঁর বাসায় আসেন এবং মেয়েকে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু তিনি এভাবে না দিতে চাইলে তারা অতর্কিতভাবে তার ভবেন হামলা চালায়। তিনি বলেন, এই মেয়কেতো তিনি একক সিদ্ধাতে ঐ পাষন্ড পিতা ও দাদার হাতে ছেড়ে দিতে পারেন না। এটা একটি আইনী প্রক্রিয়া। কিন্তু তার বাবা গোলাম মোস্তফা ও দাদা ওছিম হাজি কোন কথা না শুনে তার বাড়ির গেটে হামলা চালায় এবং ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর পুলিশ ও সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা উভয়ে আসেন এবং ঐ মেয়ের নিকট সব শোনেন।
তিনি আরো বলেন, সেখানে এডভোকেট দিল সিতারা চুনি এসেও ভিকটিমের নিকট সব শোনেন এবং পিতা ও দাদাকে আটক করার জন্য উপস্থিত চন্দ্রিমা থানার এসআই সাইদুর রহমানকে বলেন। এসময়ে সাইদুর রহমান চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে কথা বলে তাদের পুলিশ ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী ও শিশু আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছিলো। আর এই মামলা মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে ভিকটিম আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, তার বাবা ও দাদা ওছিম হাজি উভয়ে খারাপ চরিত্রের লোক। তারা সব সময় তাকে গালিগালাজ, মারপিট, এমনটি যৌন হয়রানী করে। তাদের কবল থেকে বাঁচতে তিনি পালিয়ে এসেছেন বলে নিজে স্বীকার করেন। আয়েশা আরো বলেন, তার বাবাও তার সাথে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এটা কখনো মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, তার মা নেই। সৎ মা ছিলো তাও চলে গেছে বল উল্লেখ করেন তিনি।