নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছীতে প্রতিষ্ঠিত ট্রাক শ্রমিক সমিতি দখল করার পাঁয়তারা শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অত্র সমিতিরি সদস্য হায়দার আলী বলেন, অত্র ট্রাক সমিতি পরিচালনার জন্য বিগত সময়ে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের হওয়ায় তিনি দীর্ঘ পনের বছর তাঁর অনুসারীদের নিয়ে অত্র ট্রাক সমিতি দখল করে সব কিছু ভোগ দখল করে আসছিলেন। তিনি ট্রাক শ্রমিক না হয়েও ক্ষমতার জোরে এতদিন ভোগ দখল করেছেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তন হলে সমিতির শ্রমিকগণ দখলদারীত্ব থেকে সমিতিকে মুক্ত করার জন্য কাজ শুরু করে করেন বলে হায়দার জানান।
তিনি বলেন, মাত্র ১৫-১৬ দিন হলো অত্র কমিটির সভাপতি কাইউম উদ্দীনকে সাথে নিয়ে শ্রমিকরা অ-শ্রমিক এর কবল থেকে সমিতিকে মুক্ত করেন। এরপর অন্যান্য শ্রমিকগণ সভাপতি ও তাকে দায়িত্ব দেন বলে জানান হায়দার। কিন্তু বড়গাছী ট্রাক সমিতি আবারও বাহিরের লোক দখল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। হায়দার আরো বলেন, সর্বদা সরকার দলীয় সদস্য বড়গাছী এলাকার জুয়েল ও মাধাইনগর এলাকার টুটুল মিলে এই সমিতি দখলে নেয়ার জন্য কথিত সাংবাদিক ডেকে তাঁকে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করেন জুয়েল। তিনি যাদের নাম নিয়েছেন আসলে তারা এই সমিতির কেউ নন এবং তারা কখনো ট্রাক সমিতি নিয়ে মাথা ঘামান না।
হায়দার আরো বলেন, তাঁকে দিয়ে জোর করে জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ এর নাম উল্লেখ করান। আর নাম না উল্লেখ করলে তাকে জুয়েল মারপিট করবে বলে হুমকী দেন। প্রকৃত পক্ষে সুলতান আহমেদ একটি রাজনৈতিদক দলের সাথে সম্মানের সাথে রাজনীতি করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি কখনো চাঁদাবাজী করেন না। তিনি বলেন, এই সমিতি কোন অ-শ্রমিকের নয়। এটা সম্পূর্ন শ্রমিকদের। এজন্য এই সমিতি একমাত্র শ্রমিকরাই নিয়ন্ত্রণ করবেন। শ্রমিকের মধ্যে রাজনৈতিক বিভিন্ন মত থাকতেই পারে। তাতে কোন ক্ষতি নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি। অত্র শ্রমিক ইউনিয়নে মোট ৪০জন সদস্য রয়েছেন। তাদের নিকট রাজশাহী জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টার শ্রমিক ইউনিয়নের নামে পচিয় পত্র রয়েছে। যার রেজিষ্ট্রেন নং- রাজ-১৬০৭। আর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্র্ভূক্ত রেজি: নং-১৭২৪ বলে জানান তিনি।
শ্রমিক হায়দার আলীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে শ্রমিক আসির, কাউসার, তাজেল, জাহাঙ্গীর ও মুরাদসহ আরো অনেকে বলেন, শফি পুণরায় ট্রাক সমিতি দখলে নিতে জুয়েলের সাথে আঁতাত করে আবারও ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র কোনভাবেই সফল হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা। প্রয়োজনে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন বলে উল্লেখ করেন শ্রমিকগণ।
এ বিষয়ে সুলতান বলেন, অত্র ট্রাক সমিতির সাথে তার কোন যোগসাজস নাই। শ্রমিকদের সাথে সম্পর্ক থাকলেও সমিতি নিয়ে তিনি কখনো মাথা ঘামাননি বলে উল্লেখ করেন। অথচ একজন শ্রমিককে দিয়ে জোর করে তাঁর নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেয়ানো হয়েছে। এটা ঠিক নয়। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে মোবাইলে জানতে চাইলে জুয়েল বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী মানুষ। তিনি কাউকে দিয়ে জোর করে কারো বিরুদ্ধে কোন কথা বলান নি। তবে বড়গাছী এলাকায় আওয়ামী লীগের আমলের দখলকৃত সব কিছু উদ্ধারে তিনি কাজ করছেন বলে প্রতিবেদককে জানান।