নিজস্ব প্রতিবেদক: নওহাটা পৌরসভার ছয়টি হাট চলতি অর্থবছরের বাঁকি ৫ মাস ২০ দিনের জন্য ১ কোটি ২৫ লাখ ৮১ হাজার ৮০৪ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। এবার দরপত্র বিক্রি হয়েছে ১১৫টি, যার মূল্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। যা পৌরসভার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দরপত্র বিক্রি বলে জানিয়েছেন নওহাটা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা।
কোরবানির ঈদের বাজার পাওয়া গেলে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যে হাটগুলো ইজারা দেওয়া সম্ভব হতো বলে জানিয়েছেন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নওহাটা পৌরসভার প্রশাসক সোহরাব হোসেন। এছাড়া তিনি অপরিশোধিত অর্থ পরিশোধের জন্য সরকারি দাবি আদায় আইন ১৯১৩ অনুযায়ী সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হয়েছে মর্মে জানান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নওহাটা পৌরসভার সভাকক্ষে ছয়টি হাটের বিপরীতে দাখিল করা দরপত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ দর দাতাকে হাটের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টেন্ডার কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নওহাটা পৌরসভার প্রশাসক সোহরাব হোসেন এর নির্দেশে পবা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহিদ হাসান এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
পৌর এলাকার মধ্যে ছয়টি হাট হচ্ছে- নওহাটা বাজার পশুহাট, নওহাটা তহাবাজার হাট, বায়া সিন্দুরকুসম্বী হাট, পৌর কসাইখানা, বাগধানী হাট ও বায়াগঞ্জ হাট। এর মধ্যে বায়াগঞ্জ হাট সর্বোচ্চ দরদাতা নাজির হোসেন ও ২য় দরদাতা সালাউদ্দিন। বায়া সিন্দুরকুসম্বী হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা হাবিবুর রহমান (১৭ লাখ নয় টাকা) ও দ্বিতীয় দরদাতা সেলিম রেজা (১৫লাখ), নওহাটা কসাইখানার সর্বোচ্চ দরদাতা রায়হান আলী (৮০ হাজার) ও দ্বিতীয় দরদাতা আজাদ আলী (৭৯ হাজার), নওহাটা বাজার তহহাট সর্বোচ্চ দরদাতা জিয়াউর রহমান (৪৯ লাখ) ও দ্বিতীয় দরদাতা মিজানুর রহমান (৩৭ লাখ), নওহাটা বাজার পশুহাট সর্বোচ্চ দরদাতা আফজাল হোসেন (৫৮ লাখ) ও দ্বিতীয় দরদাতা হাবিবুর রহমান (৫৫ লাখ) এবং বাগধানী হাটের সর্বোচ্চ দরদাতা মনিরুজ্জামান (৮০ হাজার) ও দ্বিতীয় দরদাতা মফিজ উদ্দিন (৭৪ হাজার)।
সর্বোচ্চ দরপত্র বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে নওহাটা পৌরসভার (সাবেক) মেয়র ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মকবুল হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের এই ১৫ বছরে তাদের ভয়ে কেউ হাট ইজারার শিডিউল কাটতে সাহস পাননি। আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন নামে হাটগুলো নিজেদের মতো করে ডেকে নিয়ে টোল আদায় করতেন। যে কারণেই চলতি মেয়াদের শুরুতে যারা ইজারা নিয়েছিলেন, তাঁদের ইজারার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি। দীর্ঘদিন পর এবার উন্মুক্ত ডাক হলো। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ডাকে অংশগ্রহণ করেছেন। এ জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক দরপত্র জমা পড়েছে। এর ফলে নওহাটা পৌরসভার ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আরএমপির পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী আব্দুর রউফ, পৌরসভার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, কর নির্ধারক হাবিবুর ও হিসাব রক্ষক নাসির উদ্দিনসহ টেন্ডারে অংশগ্রহণকারি ও গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ।