নিজস্ব প্রতিবেদক : গত বুধবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক পরিবহনের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপ এর নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকদের উপরে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এই হামলর প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের কার্যালয়ে বর্তমান কমিটির নেতারা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, সাধারণ মালিকদের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি ১৬ অক্টোবর দুপুরে কয়েকজন মালিক ও শ্রমিক কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করতে গেলে আওয়ামী নেতা মমিন, গৌতম মোহন চৌধুরী রাকেশ, মাইনুল হক হারু, সাবেক কাউন্সিলর মিলু, রজব আলী, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাহাঙ্গীর আলম,অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস সান্টু, ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী তুলিপ ও মাজদার আলীসহ আরও কয়েকজন তাঁকে এবং শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন কাক্কুসহ আরও কয়েকজন নেতৃবৃন্দকে ব্যাপকভাবে মারপিট করে আহত করেন।
তাদেরকে অন্যান্য শ্রমিকরা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বের হয়ে রাজপাড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি আবগত করেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন এই হামলার জড়িত ১১জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামী করে মামলা করেছেন।
হেলাল আরও বলেন, আমাদের উপর যারা হামলা করেছে তারা অতীতের স্বৈরাচারী সরকারের দোসর। বর্তমান সরকারকে চাপে রাখতে ও পরিবহন সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা। তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে মালিক শ্রমিক ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান তিনি।
সংবাদিকদের প্রশনে জবাবে হেলাল বলেন, এখানে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমটি সময়মত নির্বাচনের আয়োজন করবে। রাজশাহীতে এমন কোন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। সাংবাদিকরা পাবনার কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, পাবনার অবস্থা ভালনয় বলে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়ছে।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান বাবু, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সদস্য জিল্লুর রহমান, মজিবর রহমান, আলমগীর কবীর, মুরাদ, শওকত হোসেন ও মামুনসহ অত্র গ্রুপের অন্যান্য সদস্য ও সাধারণ প্রমিকগণ।
এ বিষয়ে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আলমাস খান বলেন, তারা প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচির উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম হেলাল তাঁর দলবল নিয়ে তাদের উপরে হামলা চালায়। সেইসাথে তাদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। শুধু তাইনয় তাদের উপরে হামলাও চালায়। এ নিয়ে উভয়পক্ষে ধাওয়াপাল্টা হয়।
তিনি আরো বলেন, এই অবৈধ আওয়ামী লীগের দোসর কমিটি অবৈধভাবে সড়ক পরিবহন গ্রুপের অফিস দখলে নিয়েছে। নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে এবং টাকা নয়ছয় করার জন্য এই কমিটি প্রশাসক ও নির্বাচন চায়না। তিনি দ্রুত প্রশাসক নিয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী জানান।