নিজস্ব প্রতিবেদক: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়। রোববার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয় আওতায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার সরমোংলা খাড়ী পরিদর্শন করে ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে সরমোংলা খাড়ী হতে ভূপোরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড.এম.আসাদুজ্জামান ও বিএমডিএ নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব)।
পরিদর্শনকালে তিনি মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যার কথাগুলো শোনেন। পদ্মা নদী হতে ১৪ কিলোমিটার দূর থেকে পানি এনে এই খাড়ীর মাধ্যমে আপনাদের জন্যই এই প্রকল্পের কাজ করে যাচ্ছে। স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সঠিক সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন এবং আমরা সকল কৃষকের সাথে কথা বলে ভালো লাগছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষের কাজ দেখে আমি অনেক খুশি কারন যেখানে একটি ফসল ফলাতে কৃষককে অনেক কষ্ট করতে হতো সেখানে বিএমডিএ’র কারনে তারা এখন তিনটি বা চারটি ফসলও পাচ্ছে। এটি সম্ভব হয়েছে বিএমডিএ সঠিক সময় কৃষকদের পানির ব্যবস্থা করার জন্য। মরু বরেন্দ্র ভূমি এখন ফসলে ছেয়ে গেছে এই বিএমডিএর কঠোর পরিশ্রম এর মাধ্যমে।
তাই কৃষক ভাইরা যেন সব সময় ভালো থাকে এই জন্য আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এই খাড়ীর দ্বারা বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষেরা তাদের কৃষি আবাদি জমিতে পর্যাপ্ত পানি সুবিধা পাচ্ছেন। তাই আমরা আপনাদের কথা চিন্তা করে আরও কি ভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের সেবা দিতে পারি এজন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমার বদ্ধপরিকর। এরপর তিনি সরমোংলা খাড়ীর চত্বরে গাছের চারা রোপন করেন। এছাড়াও তিনি পুকুর খনন’ খাল খনন এবং সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ, শামসুল হোদা, আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, সমসের আলী, শরীফুল হক, এটিএম মাহফুজুর রহমান, শিবির আহমেদ ও সুমন্ত কুমার বসাক এবং প্রকল্প পরিচালক রেজা মোহাম্মদ নূরে আলম সহ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর, রিজিয়ন ও জোন, প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ।