মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

জাল সনদে বাগমারার কর্ণিপাড়া সাদোপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকরী করছেন কম্পিউটার শিক্ষক মাহবুবুর

  • প্রকাশ সময় মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪০ বার দেখা হয়েছে
Certificate Template

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাল কম্পিউটার সনদ দিয়ে ২০০২ সালের ২৯ জুন থেকে রাজশাহীর বাগমারার কর্ণিপাড়া সাদোপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় জাল কম্পিউটার সনদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরী করছেন মাহবুবুর রহমান সরকার নামে এক শিক্ষক। যার আইসিটি ইনডেক্স নংÑ২০০৪৫৫৫। তিনি ২০০৪ সালে পহেলা ফেব্রুয়ারী এমপিওভূক্ত হয়ে বেতনসহ অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করে আসছেন। কম্পিউটারের যে সনদ চাকরীর আবেদনের সাথে সংযুক্ত করা হয় তা সাবেক নট্টমস থেকে অর্জন করা।

মাদ্রাসার পরিদর্শন ও নিরিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গত ২০১৬সালের ২৩ মার্চ পরিদর্শন কালে দাখিলকৃত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদটি প্রতিবেদনে ১৫(্ঞ) কলামে সনদটি জাল/ভূয়া বলে তাঁরা উল্লেখ করেন। সেইসাথে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সকল বেতন ও অন্যান্য প্রাপ্য (অর্থনৈতিক) সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশনা দেন। শুধু তাইনয় এরপরেও যদি মাহবুবুর রহমান সরকার অত্র মাদ্রাসা হতে কোন প্রকার অর্থনৈতিক সুবিধা নেন সেগুলোও ফেরত দিতে হবে বলে নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে কর্ণিপাড়া সাদোপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় যেয়ে সেখানকার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মামুনুর রশিদ এর সাথে দেখা করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কম্পিউটার সনদের স্মারক নং-ডিআইএ/রাজশাহী/৬১৫-এম/রাজঃ৩৪৫, তারিখ-১৩-১২-২০২০ মোতাবেক সনদ ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিকট যাচাইয়ের জন্য প্রেরণ করা হলে স্মারক নম্বর ৫৭.২১.০০০০.০০৭.৩৬.০০২.২০.১৫ তারিখ ২৪-১২-২০২০ মোতাবেক সনদটি নেকটার( সাবেক নট্টমস) কর্তৃক ইস্যুকৃত নয় এবং সনদটি জাল/ভূয়া বলে প্রত্যয়ন করেন।

তিনি বলেন, এ নিয়ে সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হলে তার সনদ সঠিক এবং যথা নিয়মে গ্রহন করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ সে সময়ের সুপারকে বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদান করে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, এই মাহবুবুর রহমান সরকার আওয়ামীলীগের ভয় দেখিয়ে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে এ পর্যন্ত জোর করে চাকরী করছেন। সেইসাথে গত জুন মাসের পূর্ব পর্যন্ত বেতন ভাতাদি গ্রহন করেছেন। তবে মন্ত্রণালয়ের আদেশে গত জুন মাস থেকে তাঁর বেতন ভাতাদি বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। মন্ত্রণালয় যদি বেতন ভাতাদি দেয়ার আদেশ দেন তাহলে তিনি আবারও বেতনসহ সকল সুবিধা পাবেন বলে জানান সুপারিন্টেন্ডেন্ট। সাক্ষাতকারের সময় অভিযুক্ত শিক্ষক, অত্র মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, তার সনদ জাল নয়। তিনি যে প্রতিষ্ঠান(নট্টমস) থেকে ছয়মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ নিয়ে সনদ অর্জন করেছিলেন তা আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খন্ডাতে পারেননি। তবে তার নিকট আরো কম্পিউটার সনদ রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin