নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলার পবা উপজেলায় খাদ্য কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এরআগে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক বিবেচনা ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলা বাজারে খাদ্য শস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
এমনকি মাদক কারবারিকেও ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার দায়ে অভিযুক্তের দায়ে উপজেলার সকল ডিলার পলাতক রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হক কোন পদক্ষেপ নেননি বলে জানা গেছে। সে কারণে উপজেলাজুড়ে ওই খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে আশংকা করছেন-এ নিয়ে যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।
বর্তমানেও খোদ আওয়ামী লীগের পদধারী ডিলারগণ এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। যারা কিনা অনেকে পলাতক। হুজুরীপাড়া ইউনিয়নের লুৎফর রহমান ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি পলাতক রয়েছেন। হরিপুর ইউনিয়নের সোনাইকান্দির কামরুজ্জামান নবাব, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক, হরিয়ান মৃধাপাড়ার হাসান আহমেদ জুয়েল পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির প্রভাবশালী নেতা, নওহাটা পৌর সভার আব্দুল বারী খান, নওহাটা পৌর আওয়ামী সাবেক সভাপতি এবং মাজদার রহমান নওহাটা পৌর যুবলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এদের বিরুদ্ধে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা একেএম ফজলুল হককে জানালে তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলছেন এমন কর্মকর্তা থাকলে সঠিক ডিলার নিয়োগ হবে না এবং অনিয়ম লেগেই থাকবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন জানান, বিগত সময়ে খোলা বাজারে খাদ্য শস্য বিক্রয় (ওএমএস) ডিলার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে ৪ জন ডিলারের অনিয়মের তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। অবশিষ্ট ডিলারদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। এবিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুক কে একাধিকবার ফোন করা হলেও কল তিনি রিসিভ করেন নাই।