নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে কন্যাদানের অত্র প্রদান করা হয়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর মহানগরীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনালের হলরুমে আয়োজিত অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তার দোসররা মিলে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। সেইসাথে শ্রমিক ইউনিয়নের নামে যে জমি ছিলো তাও বিক্রি করে দিয়েছে ঐ কমিটির আওয়ামী পন্থিরা।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে শ্রমিকদের কোন প্রকার মূল্যায়ন করা হতো না । নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হতো। অস্ত্র বাজি করে নিজেদের নাম ঘোষনা করিয়ে নিতেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, অর্থ আত্মসাত ও জোর করে ক্ষমতায় থেকে যারা ক্ষমতার অপব্যহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। সেইসাথে সকল শ্রমিক নেতাদের সততার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। আর দুর্নীতি করলে বিএনপি তাদের পক্ষে থাকবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর এটা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ বলে জানান প্রধান অতিথি। বক্তব্য শেষে তিনি ২২জন (বাইশ) শ্রমিকের হাতে নগদ চল্লিশ হাজার টাকা করে মোট ৮,৮০০০(আট লক্ষ আশি) হাজার টাকা প্রদান করেন।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, রাজশাহী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন,
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল। রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিক আলী পাখির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বোয়লিয়া থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক আসরাফুল ইসলাম (নিপু) ও সদস্য সচিব আলাউদ্দিন, রাজশাহী জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টার শ্রমিক ইউনিয়নের নয়া আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মাইনুল হক মানা ও সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মধু। এছাড়াও বিএনপি অন্যান্য থানার আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য ও সাধারণ শ্রমিকগণ।
এদিকে কন্যাদানের অর্থ প্রদানের পূর্বে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এতে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি এখানে উল্লেখ করা হয় আওয়ামী সন্ত্রাসী কামাল হোসেন রবি, মমিনুল ইমলাম মোমিন, আরমান আলী, মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ও সাইফুল ইসলাম গংরা এগুলো করছেন। এদের শাস্তির দাবী জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।