নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫আগস্টের স্বাধীনতা এক মাসে আসেনি। এটা দীর্ঘ সতের বছরের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ফসল। তিলে তিলে গড়ে তোলা আন্দোলনের ফসল। এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা একাত্বতা ঘোষনা করে স্বৈরাশাসনের অবসান ঘটান। আর খুনি হাসিনা প্রানভয়ে পালিয়ে যেয়ে নিজের জীবন বাঁচান। কিন্তু তার দোসরদের রেখে গেছে এ দেশে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে খুনি হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র ছাত্রদের উপরে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। সেইসাথে সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিণীর সদস্যরাও গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে।
আর এই হত্যাকান্ডের প্রধান নির্দেশদাতা হচ্ছে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা। এজন্য খুনি হাসিনাকে যেমন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে তেমনি ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ তার সকল দোসরদের দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে বলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর মনিবাজারস্থ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনামূলক যৌথ কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখনো বিএনপি ক্ষমতায় আসেনি। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হলে সবাইকে একযোগে সততা এবং সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এখন পিঠ বাঁচাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের দলে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবে। আগামীতে কমিটি গঠন করতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও যারা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সাথে থেকে বিগত সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে লিয়াজো করে চলেছে তাদের ছবি প্রকাশ করার জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধান অতিথি বলেন, যারা আগে ছাত্রলীগ করতো তারা এখন ছাত্রশিবিরে যোগ দিচ্ছে। আর ছাত্রশিবিরি তাদের সাদরে গ্রহন করছে। তাদের দেখে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনকে এ কাজ করা যাবেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন। কারন বিএনপি একটি বৃহত দল। এই দলের সাথে সবাই থাকে এবং হিংসাও করে। এজন্য বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। জনগণই বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। অতএব জনগণের সাথে কোনভাবে খারাপ আচরণ করা যাবেনা বলে উল্লেখ করেন। সেইসাথে আগামীতে যে কমিটি গুলো গঠণ হবে, সেসব কমিটিতে ত্যাগি, জেল জুলুম ও কারাভোগকারীরা যেন স্থান পায় সেদিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।
যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রাসেল মাহমুদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জহির আহমেদ রায়হান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহিন।
উপস্থিত ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান স্বজন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ফায়সাল সরকার ডিকো, মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলার সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক খালেদ, জেলার আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, মহানগরের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিক কনক, সদস্য সচিব শাহরিয়ার আলম বিপুল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, জেলার আহ্বায়ক এস.এম সালাউদ্দিন সরকার শামীম, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ ও জেলার সদস্য সচিব আলামিনসহ জেলা ও মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন থানা, উপজেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড ও বিভিন্ন ইউনিটের হাজার হাজার নেতাকর্মীবৃন্দ।