নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে যোগসূত্র ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিষয়ে রাজশাহীতে ওয়ান হেলথ ডে ( এক স্বাস্থ্য দিবস) পালন করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। এবারের বিশ^ স্বাস্থ্যের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “ আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার”। ওয়ান হেলথ হচ্ছে একটি সমন্বিত, একীভূত করার পদ্ধতি। যার লক্ষ্য টেকসই ভারসাম্য বজায় রাখা এবং মানুষ, প্রাণী এবং বা¯‘তন্ত্রের স্বাস্থ্যকে নিশ্চিত করা।
ওয়ান হেলথ ডে উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী রেডিও সেন্টারের বিপরীত রাস্তা থেকে উপস্থিত অতিথি ও হেইফার বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও তাদের বিভন্ন সমিতির সভাপতি, সধারণ সম্পাদক ও সদস্যদের সমন্বয়ে র্যালি বের করা হয়। র্যালি নিয়ে তারা লক্ষ্মীপুর এলাকার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে এনজিও ফোরাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এসে শেষ করেন।
র্যালি শেষে হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের আয়োজনে এনজিও ফোরাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হেইফার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ডিরেক্টর অব প্রোগ্রাম ডেভিড বাদলগোমেজ।অতিথি হিসেব উপস্থিত থেকে মতামত দেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ভেটেরিনারী অনুষদের প্রফেসর ড.জালাল উদ্দিনসরদার, রজশাহী জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতোয়াররহমান, রাজশাহী কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরীর উপপরিচালক ডা. গোলাম মোস্তফা ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রাজশাহীর অতিরিক্ত উপপরিচালক সাবিনা বেগম। সভা সঞ্চালনা করেন রাজশাহী কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরীর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. অসিম কুমার প্রামানিক। অনুষ্ঠানের সাবির্ক সহযোগিতায় ছিলেন ডা. হারুন-অর রশিদ।
সভার শুরুতে হেইফার সম্পর্কে ধারনা প্রদান করেন ডাঃ হারুন-অর রশিদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি ডেভিড বাদল গোমেজ। ডা. জালাল উদ্দিন সরদার বিশ^ ওয়ান হেলথ ডে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এ সময়ে তিনি বলেন, ওয়ান হেলথ মূল বক্তব্য হচ্ছে মানুষ ও প্রাণীকুল সমতার ভিত্তিতে একই সাথে বসবাস করবে। এর মানে হচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদা রযেছে, তেমনি ঐ মৌলিক চাহিদা গুলোর সব কিছু প্রাণীকুল না পেলেও খাদ্য, নিরাপদ বাসস্থান ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখে। সেইসাথে নিরাপদে চলাচলেরও তাদের অধিকার রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন ওয়ান হেলথ এর সুবিধা হচ্ছে মানুষ, প্রাণী এবং পরিবেশকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ন মোকাবেলা করতে সাহায্য করা, শনাক্তকরণ, প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ এবং বিশ^ব্যাপি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবদান রাখতে পারে। এজন্য বর্তমানে পৃথিবী জুরে এক স্বাস্থ্য নীতির প্রবর্তন শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপর শুরু হয় উন্মুক্ত আলোচনা। আলোচনায় উপস্থিত সকলেই অংশগ্রহন করেন এবং এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।