নিজস্ব প্রতিবেদক: সি আর পি রাজশাহী আফসার হোসেন সেন্টার ও আন্তর্জাতিক সোসাইটি ফর প্রস্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স এর উদ্যোগে মঙ্গলবার ৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং তারিখ মঙ্গলবার সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ৩য় আন্তর্জাতিক প্রস্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “স্বনির্ভরতা ও সক্ষমতা”। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এস এম ইউসুফ আমিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিআরপির ব্যবস্থাপক সোমা বেগম। এছাড়াও রাজশাহী সিআরপির সেবা গ্রহীতা ও সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বাংলাদেশে প্রস্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স এর ইতিহাস এবং বাংলাদেশে এই সেবাটির কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিআরপি রাজশাহীর প্রস্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স বিভাগের ইনচার্জ ফাইজুল লাবিব।
তিনি বলেন, যুদ্ধ পরবর্তী সময়-আর আই এইচ ডি (বর্তমান নিটোরে) বিদেশি চিকিৎসকগণের সহায়তায় এই সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা বেশি দূর অগ্রসর করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম সিআরপির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি. এইচ. পি. আই “ডিপ্লোমা ইন প্রস্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স ” কোর্সটি চালু করে। পরবর্তীতে তা আন্তর্জাতিক সোসাইটি ফর প্রন্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স এর স্বীকৃতি লাভ করে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানে বি.এস.সি ইন প্রস্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স কোর্স চালু করা হয়েছে। সি আর পি সাভার সহ ৫ টি শাখা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অঙ্গহানি ব্যক্তির কৃত্রিম অঙ্গ পুনরায় প্রতিস্থাপন করে, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পুনর্বাসনে সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি বাঁকা হাত-পা, মেরুদন্ড সোজা করা, দুর্বল মাংসপেশির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং শারীরিক যে কোন প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রস্থেটিক্স এন্ড অর্থোটিক্স বিভাগ সহায়ক বিভিন্ন উপকরণ তৈরি ও প্রদান করে থাকে।
শারীরিক ও সামাজিক সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে প্রতিটি ব্যক্তি যেন সমাজের মূল স্রোত ধারায় নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে এই বিষয়ে সি আর পি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশের প্রতিটি স্থানে, সর্বস্তরের মানুষের কাছে এই সেবা পৌঁছে দিতে সিআরপি বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সেবার উপকারিতা এবং সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সহজলভ্যতা সৃষ্টি করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।