নিজস্ব প্রতিদেক: রাজশাহীতে মাদ্রাসা নির্মানের নামে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐ জমির মালিক উম্মে হানী। তিনি বলেন, গত ৪ বছর আগে নতুন বুধপাড়া এলাকায় সোয়া ছয় কাটা জমি ক্রয় করেন। গত ২০ অক্টোবর সেই জমিতে সীমানা প্রাচীর দেয়ার জন্য কাজ শুরু করেন। তবে ঐ এলাকার বাসিন্দা জনৈক মোজাম্মেলসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন এসে তাদের প্রাচীর বন্ধের হুমকি দেয়। এরপরও তারা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। তবে গত ২৭ অক্টোবর রাতে মোজাম্মেল নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন এসে তাদের সীমানা প্রাচীরের উত্তর দিকের অংশ ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় গত ৩ নভেম্বর মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৩ নভেম্বর আবারও ভাঙ্গা অংশের প্রাচীর দেয়ার জন্য কাজ শুরু করলে মোজাম্মেলসহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ বন্ধের হুমকি দেন এবং বলেন, জমির উত্তর দিকে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হবে, তাই ২ ফুট জমি দান করতে হবে। এমতাবস্থায় তাদের ২ ফুট জমি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেই। তবে তারা তা কিনতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জোরপূর্বক ২ ফুট জমি দখলে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন। এসময় রাতেই প্রাচীর ভেঙে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে গিয়ে দেখি তারা উত্তর দিকের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা তৈরির কথা বলে ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোর পূর্বক তার জমি দখলের নেয়ার চেষ্টা করছে মোজাম্মেল। এবিষয়ে মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেও প্রশাসনের কোনো সহযোগীতা পাননি। এমতাবস্থায় পরিবার নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। আমি চায় এর একটা সুষ্ঠু সমাধান হোক। তারা যদি এ ২ ফুট জমি নিতে চায় তবে তাদের আমার কাছ থেকে কিনে নিতে হবে। তাই এ বিষয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কাম্য করেন তিনি।
প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের না হটালে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সকল উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজশাহীর নগরীর সাহেব বাজারে মানববন্ধনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা। নাগরিক পার্লামেন্ট বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বক্তারা আরো বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার দৃশ্যমান সফলতা দেখাতে পারেনি। কারণ এখনো পেছন থেকে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন বিগত সরকারের দোসররা। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়ায় কিশোর গ্যাং মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছিলো বলেও মনে করেন তারা। লটারি নয়, মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেশনজটমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। বলেন, ১৫ বছরের জঞ্জাল এতো দ্রুত সাফ করা সম্ভব নয়। তবে যারা সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের অপসারণের দাবি জানান।