নিজস্ব প্রতিবেদক: যারা জীবন বাজী রেখে ১৯৭১সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যেমে ৫আগস্ট বিতারিত করতে যেয়ে শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। তাঁর ঘোষনার মাধ্যমেই দেশের সকল শ্রেণি পেশারমানুষ যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জাতী যখন দিশেহারা ছিলো। সে সময়ে মেঝর জিয়া যুদ্ধ ঘোষনা করেন, সেদিন ছিলো সারা বিশ্বের মহানায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে দেশ থেকে বিতারিত করেছে। আর এই আন্দোলন যখন কঠিন প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়, ঠিক তখনই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুদুর লন্ডনে থেকেও পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে সাহস জুগিয়েছেন। এরফলে খুনি হাসিনা দেশ থকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ১৯৭৫ সালের ন্যায় এটা হয়। এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। এই সকল আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত ও সুস্থ্যতা কামনা করেন সেইসাথে যুদ্ধেরসময় সম্ভ্রম হারানো নারীদের শ্রদ্ধা জানান।
মিনু আরো বলেন, ১৯৭১ সালে শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে যে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো, সেই দেশকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা রক্ষা করবেন। প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ধারনা দল শহীদ পে্িরসডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ সতের বছর দেশের বাহিরে আছেন। এছাড়াও সরকার পতেনের আন্দোলনে ৬৭জন গুম ও সাড়ে সাত হাজারের উপরে নিহত হয়েছে। গত আন্দোলনে ৯৯৭জন খুন হয়েছে। এরমধ্যে ৪২৭জন জাতীয়তাবাদী দলের।
তারা এই স্বৈরাচার খুনি হাসিনা থেকে মুক্ত পেতে চাচ্ছিলো। তারা মুক্ত হয়েছে। আজকে এই দিনে তিনি আহ্বান করেন জিয়াউর রহমান যে ভাবে দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলেছিলেন। তেমনি বাংলাদশে আবার গড়তে আগামী সাতদিনের মধ্যে হীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমান ও সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদার সুযোগ্য পুত্র দেশনায় তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে আসার সকল ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। সেইসথে দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা প্রদানের দাবী করেন তিনি। তিনি তিনি ১০ নভেম্বর এর কর্মসূচী ঘোষনা করেন।
বৃহস্পতিবার সকল ৮টায় রাজশাহী জেলা ও মহানগরের আয়োজনে কর্মসূচীতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ। মুক্তিযোদ্ধা দল রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকার সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন।
আরো উপস্থিত ছিলেন যুবদল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট, যুবদল রাজশাহী মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, যুবদল রাজশাহী মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাজপাড়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা শাহানুর ইসলাম মিঠু, স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর বিএনপি’র সদস্য ও জেলা কৃসক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, প্রিন্সিপাল বিপ্লব, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, কাশিয়া থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক শামীম রেজা, শ্রমিক নেতা সাজ্জাদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোর্ত্তুজা ফামিনন, সাবেক সভাপতি হাজী শহীদ আলম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এর রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার মন্ডল, হিন্দু বৌদ্ধ ক্রীষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রাজশাহী মহানগরীর আহ্বায়ক অশোক কুমার সাহা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল সরকার। এছাড়াও রাজশাহী মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।