নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিসের কমিশনারের গোপনীয় শাখায় ২৪ বছর ধরে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন নুরুল মোমেন (সবুজ)। এক প্রতিবেদনে সবুজ এর ডান হাত এগারো বছরের রাজত্ব করা মিজানুর রহমানের অবসান ঘটলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন সবুজ। এই সবুজ নানা ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত। সেইসাথে অত্র অফিসসহ রাজশাহী বিভাগে গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে নানা ধরনের অপকর্ম করে কামিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। ক্রয় করেছেন ফ্ল্যাট বাড়ি, প্লট ও জমি। এমনটাই বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।
গত ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে দৈনিক সানশাইন প্রত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে সবুজের ডান হাত খ্যাত মিজানুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। সূত্র বলছে মিজানুর রহমান তার নিকট আত্মীয় পরিচয়দানকারী ৭-৮জনকে যে চাকরীর ব্যবস্থা করেছিলেন, এর পিছনের মুল হোতা ছিলেন এই নুরুল মোমেন (সবুজ)। এ সকল অবৈধ কাজ করে তিনি প্রচুর অর্থ কামিয়েছেন বল জানা গেছেন। অনেক কাজ আছে তা বিভাগীয় কমিশনারকে অবহিত না করে নিজের ক্ষমতা বলে করে অনৈতিক সুবিধা নেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সকল কমচারীরা সবুজকে ভয় পান এবং তার সম্পর্কে কেউ ভয়ে কথা বলতেও পারেন না। তার বিরুদ্ধে কেউ সাহস করে কথা বললে তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানীর স্বীকার হতে হয় বলে অনেক প্রমান রয়েছে।
সে একই শাখায় দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে চাকরী করছেন। গত ৮ জুলাই ২০১৫ ইং তারিখে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা আছে কোন সরকারী কর্মচারী ৩ বছরের অধিক কাল একই শাখায় চাকরী করতে পারবেন না। তাঁকে অবস্থাভেদে অন্যত্র বদলি করা নির্দেশনা রয়েছে। অথচ তিনি এতদিন পর্যন্ত রয়ে গেছেন। জানা যায় ঐ পদে আরো অনেকে রয়েছেন। কিন্তু তিনি সে জায়গায় কাউকে পদায়ন করতে দেন না।
আরো জানা যায় বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহীর কার্যালয়ে বিভাগীয় নির্বাচনী বোর্ড (ডিএসবি) নামে একটি শাখা আছে। অত্র শাখার নির্দিষ্ট কর্মচারী থাকলেও তাদেরকে সুযোগ না দিয়ে নিজের অনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য নুরুল মোমেন সবুজ সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে চুড়ান্ত ফলাফল পর্যন্ত তিনি একাই দায়িত্ব পালন করেন। এ ধরনের দায়িত্বে থাকলে অনেক কিছুই তার পক্ষে করা সম্ভব।
১৩নং গ্রেডের কর্মচারী অল্প বেতনে চাকুরি করে তিনি থাকেন রাজশাহী মহানগরীর বোস পাড়ার আমেনা মোরশেদ টাওয়ারের, দুইটি বিলাশবহুল ফ্ল্যাটে। শুধু তাই নয় তার স্ত্রীর নামেও রাজশাহী প্যারামেডিকেলের সামনে ৩ কাঠা জমি কেনা আছে। বিতর্কিত জমি (বাহাই কেদ্র) দখল করার জন্য ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতো অথের মালিক তিনি কিভাবে হলো তা ক্ষতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন অভিযোগকারীরা। এবিষয়ে দুদুকেরও সহযেগিতা কামনা করেন তারা। এই ধরনের দুর্নীতি পরায়ন কর্মচারীকে দ্রুত অন্যত্র বদলি করার দাবী জানান অভিযোগকারীরা।
এ বিষয়ে নুরুল মোমেন (সবুজ) বলেন, তাকে অফিসের স্যাররা একই শাখায় রেখেছেন। এখানে তার কিছু করার নাই। অবৈধ অর্থ, নিয়োগ বাণিজ্য, ফ্লাট ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। সেইসাথে প্রতিবেদককে তার সাথে সরাসরি দেখা কারার জন্য বার বার অনুরোধ করেন।