নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি ও পাহাড়িয়া পরিষদের যৌথ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাহাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার কী-বোর্ড উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় একাডেমির মিলনায়তনে পাহাড়িয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা চর্চার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তোরণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এর উদ্বোধন করেন। এসময় বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য অতিথিদেরও ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
‘পাহাড়িয়া ভাষা’র প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মানুষের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক তৈরি করতে ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একমাত্র ভাষার কারণেই মানুষ অন্যান্য জীবের থেকে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই ভাষা টেকনোলজি ও প্রকৃতির সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করেছে। এক্ষেত্রে যে জাতি যত বেশি ভাষা জানবে, সেই জাতি তত বেশি তথ্য ও জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে। আজ শনিবার থেকে পাহাড়িয়া ভাষাটি দক্ষিণ এশিয়ার নবীনতম ভাষা হিসেবে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করলো। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়িয়া মাতৃভাষার কী-বোর্ডটি বিশ্বে ২৯৫ তম কীবোর্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল। বিশ্বের দরবারে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে পাহাড়িয়া ভাষার সাথে পরিচিত করতে এই কীবোর্ড সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আলোচনা সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব ও রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির উপ-পরিচালক বেনজামিন টুডু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির নির্বাহী সদস্য ও সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, একাডেমির নির্বাহী সদস্যশেলী প্রিসিল্লা বিশ্বাস, আদিবাসী ভাষা প্রযুক্তিবিদ সমর মাইকেল সরেন, নবাই বটতলা ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে পিমে, পাহাড়িয়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক অভিলাষ বিশ্বাস।
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক মানুয়েল সরেন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র একামেডির কার্যনির্বাহী পরিষদের বর্তমান ও সাবেক সদস্যগণ, একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের জনগণ।