নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের আয়োজনে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকেল রাজশাহী ৩টায় রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শুরুর পূর্বে রাজশাহী জেলা পরিষদ মিলনায়তন চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মীসভার উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ।এরপর জেলা পরিষদ হলরুমে শুরু হয় কর্মীসভা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন অর রশীদ মামুন, শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, রংপুর বিভাগের যুগম্ আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম ফকু, রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল, শ্রমিক দল নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব কামরুল জামান ও শ্রমিক দল রাজশাহী জেলা শাখার উপদেষ্টা সুলতানুল ইসলাম তারেক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি। সভা পরিচালনায় ছিলেন শ্রমিক দল রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি রুকুনুজ্জামান আলম। সভার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শমিক দল রাজশাহী জেল শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তোতা ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দীন। সভায় রাজশাহী জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শ্রমিক দল এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চলে এসেছে। অতিতে এই দলের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিলো। তারা কোন সভা সমাবেশ করতে পারতো না। কিন্তু বর্তমানে শ্রমিকদল একটি সুসংগঠিত দলে পরিণত হয়েছে। এখন তারা সকল প্রকার কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করছে। শ্রমিকদল এখন পরিণত হয়ে উঠেছে তার প্রমান এই সভা। তিনি আরো বলেন, এই আত্মতুষ্টি নিয়ে বসে থাকলে চলবেনা। পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী ভারতে বসে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। যার প্রমান চিন্ময় দাস।
তিনি বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী কারর জন্যই খুনি হাসিনা এই ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছে। খুনি হাসিনা ভারতে বসে থেকে আবারও একজন আইনজীবীকে হত্যা করিয়েছে। এ নিয়ে তিনি হাজার হাজার নেতাকর্মী ও জনগকে হত্যা করলো। সকল প্রকার রুখে দিতে শ্রমিকদলসহ সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে আগামীতে শ্রমিক দলের কিকি করণীয় রয়েছে তা তিনি তুলে ধরেন।