নিজস্ব প্রতিবেদক: আধিপত্যবাদী ভারত, বাংলাদেশকে তাদের উপনিবেশ মনে করতো। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দিল্লী দিশেহারা হয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অভিযোগ করেন, নিজ দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনে যুক্ত মোদি সরকারের বাংলাদেশের ব্যাপারে নাক গলানো শোভা পায় না বলে ভারতীয় আগ্রসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা করে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের স্বপ্ন দেশের জনগণ কখনো পূরণ হতে দেবে না। কারন খুনি হাসিনা বাংলাদেশকে একটি তলা বিহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। যত টাকা স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসররা লুটপাট করেছে তা দিয়ে বাংলাদেশের আমুল পরিবর্তন করা সম্ভব হতো। তিনি আরো বলেন, ভারতের এখন তাবেদারী বাংলাদেশীরা আর মানেনা। এজন্য মোদি সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এখন পাগলের প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। আর ভারতের দালাল মিডিয়ারা বাংলাদেশ নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। সেইসাথে দুতাবাসে হামলা করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কোন শব্দ নাই। সবাই বাংলাদেশী। সবাই একসাথে বসবাস করছেন। একে অপরকে সহযোগিতা করছে। ভারতের মত জাতিতে জাতিতে কোন ছোটবড় নাই এদেশে বওে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। সেইসাথে সকল প্রকার অপ্রচার বন্ধ করার করার জন্য ভারতের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। না হলে আগামীতে এর কড়া জবাব দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান অতিথি। তিনি বলেন, পতিত সরকারের সব থেকে ঘৃন্য ব্যক্তি শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে মোদির কোলে বসে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ সকল ষড়যন্ত্র বাংলাদশের ছাত্র-জনতা ও বিএনপি কঠোর হস্তে দমন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ভারতের চিকিৎসা খাতে ধস নেমেছে। আগামীতে আরো নামবে।
বাংলাদেশ একটি উজ্জল সম্ভবানময় দেশ। এদেশের ওষুধ বিদেশে রপ্তানী হয়। চিকিৎসার জন্য অনেক ভাল ভাল সরকারী বেসরকারী হাসপাতাল রয়েছে। রয়েছে বিশ্বমানের ডাক্তার। ঐ সকল ডাক্তারদের একটু যত্নবান হয়ে রোগিদের সেবা প্রদান করার অনুরোধ করেন। এতে করে দেশের টাকা দেশে থাকবে এবং পার্শবর্তী দেশ থেকে রোগিরা বাংলাদেশে আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে ভারতের আগ্রাসন ও অপ্রচার রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে মঙ্গলবার নগরীর ভূবন মোহন পার্কে জমায়েত ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি নিয়ে তারা সোনাদিঘী হয়ে সাহেববাজারসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রানী বাজারে গিয়ে শেষ করেন। সেখানেও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, আসলাম সরকার, শাফিকুল ইসলাম শাফিক ও জয়নাল আবেদীন শিবলী জেলা বিএনপি’র সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও রাজশাহী মহানগরের দপ্তরে সংযুক্ত আরিফুল শেখ বনি, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও কৃষক দল রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন, মহানগর মহিলিা দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বিথী ও সহ-ক্রীড়া সম্পাদক লাভলী ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকিসহ মহানগরের অন্তরগত সকল থানা বিএনপি’র, আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও সকল সদস্য এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।