নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে নিয়ে পার্শবর্তী দেশ ভারত গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে পতিত পলাতক খুনি হাসিনা। শেখ হাসিনা ছিলো একজন ক্ষমতালোভী সব থেকে ঘৃন্য প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মত স্বৈরাচার আর পৃথিবীতে আর নাই বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বার বার জাতীয় নির্বাচনে একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় বসেছেন। শেষ মুহুর্তেও নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সহস্রাধীক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। আহত করেছে হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে।
ভারতের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হতে দেয়া হবেনা বলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
শুধু তাই নয় ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা তার আজ্ঞাবহ আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্য এবং তার সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগকে দিয়ে এই নি:শংস হত্যাকান্ড করিয়েছে। এই হত্যাকান্ডের জন্য শেখ হাসিনা সহ সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবে বিএনপি। এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বিএনপিঅ। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সুদুর লন্ডনে থাকলেও তাঁর মনটা পড়ে রয়েছে বাংলাদেশে। কারন তিনি বাংলাদেশ ও দেশেল মানুষকে ভাল বাসেন। আর খুনি হাসিনার ছেলে-মেয়ে, বোনসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন সবাই বিদেশে থাকেন। সেখানে রয়েছে তাদের বাড়ঘর। অথছ জিয়ার পরিবারের কোন বাড়িঘর বিদেশে নাই। এ থেকেই বোঝা যায় কে দেশ প্রেমিক।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃর্ক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভা চলমান রয়েছে। এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদশে আর কোন প্রকার সমস্যা, দুর্নীতি ও সব্জনপ্রীতি থাকবেনা। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের দরবারে একটি রোল মডেল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার বিকেলে কাঁটাখালীর ৬ নং হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ৬ নং হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাক আব্দুর রাজ্জাক। সভা সঞ্চালনা করেন হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব বাদশা মিয়া। এছাড়াও অত্র ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য শেষে জনগণের মাঝে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা পৌঁছে দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়।