নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিগত দুই বছর পূর্বে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ২৭দফা জনসমুক্ষে তুলে ধরে ছিলেন। এরপর তিনি এটা পরিমার্জন ও পরিবর্ধন এবং সংকোচন করার বিষয়ে জনগণের নিকট মতামত চান। যার ফলশ্রুতি বর্তমানে তারেক রহমান রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা তুলে ধরেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে দারুশা স্কুল মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
মিলন বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের মূল নায়ক হচ্ছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঘুনে ধরা রাষ্ট্রকে ঘষে মেজে পরিস্কার ও সংস্কার করার জন্যই এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কিন্তু এতে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়েছিলেন। অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩১ দফা প্রচার করার লক্ষে এই ধরনের কর্মসূচী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশ এখন অন্তরবর্তীকালীন সকারের অধিনে চলছে। বিএনপি এই সরকারকে সমর্থন করে। সেইসাথে সহযোগিতাও করে আসছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের রোডম্যাপবে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, তার মানে এই নয় যে সব কিছুতে সমর্থন করবে বিএনপি। কারো নিকট নতজানু না হয়ে সুন্দর একটি নির্বাচন দেয়া আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, কারো চক্ষু রাঙ্গানো ভয় করার কোন কারন। কারন বিএনপিসহ দেশবাসী বর্তমান সরকারের সাথে আছে। তিনি বলেন, সব থেকে ঘৃন্য ব্যক্তি হচ্ছে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনা। তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোন কাজ নাই যে করেন নি। তিনি বিডিআর বিদ্রোহের নামে অর্ধশতাধিক সেনাবাহিনীর অফিসারদের হত্যা করিয়ে ছিলন। বিডিআর হত্যার বিচার দাবি করেন করেন তিনি।
মিলন বলেন, পতিত সরকারের আমলে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও গায়েবী মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা অতি উৎসাহী হয়ে এই মামলা গুলো করেছিলো। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে করা সকল রাজনৈতিক মামলা এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবী জানান তিনি। মিলন বলেন মাত্র ৩৬ দিন এই খুনি হাসিনা প্রায় ষোলশ এর বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। সেইসাথে গুরুতর আহত হয়েছে প্রায় ২০হাজারের বেশী। অনেকে পঙ্গু ও অন্ধ হয়ে গেছেন। এই নিসংশ হত্যাকান্ডেরও দ্রুততার সাথে বিচার কারার দাবী জানান তিনি।
তিনি বলেন, খুনি হাসিনা নাকি এই ডিসেম্বরে টুপ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে গুজব ছড়াচ্ছে বলে পতিত সরকারের দোসররা। বিএনপিও চায় হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তারই আয়না ঘরে রেখে বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শস্তি প্রদান করা হোক। কারন তিনি সম্পূর্নভাবে মানববতা বিরোধী অন্যায় করেছেন। শুধু তাই নয় এই পনের বছরে প্রায় চৌদ্দ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। ভোট চুরি করেছে। আর এর জন্য কোটি কোট টাকা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর পিছনে এবং নির্বাচনে যারা জড়িত সবাইকে টাকা দিয়েছে এই হাসিনা সরকার। এ করে তিনি দেশকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। বক্তব্য শেষে দোয়া করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হুজুরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপাপ্ত আহ্বায়ক সিহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য শাহজাহান আলী, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক শেখ মকবুল হোসেন, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম মাস্টার, পারিলা ইউনিয়ন বএিনপি’র আহ্বায়ক রেজাউল করিম, দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক এনামুল হক কনক, হরিপুর ইউানিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান মুন্নাফ, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব বাদশা মিয়া।
হুজুরীপাড়া ইউইনয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য ফরিদুল ইসলাম সাহেব জাদা, পবা থানা যুবদলের সাবেক সিনিয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সদস্য মাজদার রহমান ও এডভোকেট তারেক হোসেনসহ অত্র ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের প্রায় সহশ্রাধিক নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।