মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

সকল জনপ্রতিনিধিদের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকতে হবে:মিলন

  • প্রকাশ সময় বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকট শফিকুলহক মিলন বলেন, “গতকালকে বাংলাদেশের রাজনীতি মেরুকরণ হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময়ে সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছিলো সকল নির্বাচন হবে তত্ববধায়ক সরকারের অধীনে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর থেকে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবার জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকতে হবে। কিন্তু আওয়ামীলীগ নির্বাচনে এসেই সংবিধান সংশোধনীর নাম করে তত্ববধায়ক সরকার বিলুপ্ত করেছে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছী ইউয়িনের কুঠিপাড়া স্কুল মাঠে বড়গাছী ইউনিয়ন বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এগুলো কথা বলেন। তিনি বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের মূলনায়ক হচ্ছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঘুনে ধরা রাষ্ট্রকে ঘষে মেজে পরিস্কার ও সংস্কার করার জন্যই এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কিন্তু এতে করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়ে ছিলেন। অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩১ দফা প্রচার করার লক্ষে এই ধরনের কর্মসূচী করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দেশ এখন অন্তরবর্তীকালীন সকারের অধিনে চলছে। বিএনপি এই সরকারকে সমর্থনকরে। সেইসাথে সহযোগিতাও করে আসছে।

মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সময় যারা তাদের সমালোচনা করতো তাদেও বিরুদ্ধে অমানষিক অত্যচার হতো। বিএনপি যাতে নির্বাচনে না আসতে পারে সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফরমায়েশি রায় দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান যাতে বাংলাদেশে না আসতে পারে সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন করে বিএনপির জাতীয় নের্তীবৃন্দকে জেল খাটিয়েছে। সারাদেশে ৭৪৬ জনকে গুম করেছে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকে এই ২৪ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে যারা বলেছে তাদের দমাতে শেখ হাসিনার সরকার ১ লক্ষ্য ২০ হাজার মামলা দিয়েছে।

মিলন বলেন, পতিত সরকারের আমলে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও গায়েবী মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা অতি উৎসাহী হয়ে এই মামলা গুলো করেছিলো। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে করা সকল রাজনৈতিক মামলা গায়েবি। মিলন বলেন, মাত্র ৩৬ দিনে এই খুনি হাসিনা প্রায় ষোলশ এর বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। সেইসাথে গুরুতর আহত হয়েছে প্রায় ২০হাজারের বেশী। অনেকে পঙ্গু ও অন্ধ হয়ে গেছেন। এই নিসংশহত্যাকান্ডেরও দ্রুততার সাথে বিচার করার দাবী জানান তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপিও চায় হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তারই আয়না ঘরে রেখে বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শস্তি প্রদানকরা হোক। কারন তিনি সম্পূর্নভাবে মানববতা বিরোধী অন্যায় করেছেন। শুধু তাইনয় এই পনের বছওে প্রায় চৌদ্দ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। ভোট চুরি করেছে। আর এর জন্য কোটি কোট টাকা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর পিছনে এবং নির্বাচনে যারা জড়িত সবাইকে টাকা দিয়েছে এই হাসিনা সরকার। এ করে তিনি দেশকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি নেতাদের নামে দায়ের করা মামলা দ্রুত সময়ের ভিতরে সমাপ্ত করার জন্য বর্তমান সরকারের দৃর্ষ্টি আর্কষন করে তিনি বলেন,“অন্তবর্তী কালীন সরকারে উপদেষ্টা প্রখ্যাত নোবেল বিজয়ী ডক্টর ইউনুস আপনাকে এই দেশের ছাত্র-জনতা অনেক আশা আঙ্খাকা নিয়ে চেয়ারে বসিয়েছে। কিন্তু আপনার প্রশাসন আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। আপনি এই দিকে নজর দিন। শেখ হাসিনা কিভাবে চার্টার্ড ফ্লাইটে ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। তার নেতাকর্মীরা বিদেশে কিভাবে যেতে পারে? এখনো ফ্যাসিবাদ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমার এই প্রোগ্রাামেও অনেকে আছে। তাদের খুজে বের করতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত দেখছি বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীর নামে এখনো গায়েবি মামলা চলমান আছে। আমি সরকারের উপদেষ্টাদের বলবো আপনারা একমাসের ভিতরে এই মামলা গুলো নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করেন।

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ¦ শেখ মোকবুল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন মুুকল, যুগ্ম আহ্বায়ক কে এইচ রানা শেখ, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান উদদৌলা পান্নাসহ উপস্থিত ছিলেন জেলা,উপজেলা, ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ, আহত এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়ে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin