শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পবার হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ রাজশাহী স্যানেটারি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির বনভোজন রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ইউসেপ রাজশাহী অঞ্চলে সোশ্যাল ইনক্লুশন টিমের নেটওয়ার্কিং সভা নারীর উন্নয়ন পুরুষদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়:কেয়া খান ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ড্যাব) রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন আহত বিএনপি নেতা শাওয়াল এর পাশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ পতিত সরকারের দোসররা দেশে আবারও বিশৃংখলা করার পাঁয়তারা করছে:ঈশা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ছাত্রদল নেতার সাংবাদিক সম্মেলন

  • প্রকাশ সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুতুজা ফামিন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর গনকপাড়ায় একটি হোটেল কক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়,গত ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে (আনুমানিক রাত দশটা থেকে এগারোটা) রাজশাহী মহানগরীর গণক পাড়ায় অবস্থিত ‘হোটেল গ্র্যান্ড’ নামক একটি আবাসিক হোটেলে কথিত চাঁদাবাজি বা ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল এবং ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দের নাম জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে হোটেল গ্র্যান্ডে কথিত চাঁদাবাজি অথবা ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুর্তুজা ফামিন, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শেখ আসিফ নাফির সম্পৃক্ততায় বা নেতৃত্বে বা উপস্থিতিতে কথিত ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিভিন্ন অফলাইন ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম সহ কিছু ‘ব্যক্তির’ ফেসবুকে পোষ্টের মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। হোটেল গ্রান্ড এর কথিত ঘটনায় বহুল প্রচলিত স্বনামধন্য পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর, আজকের পত্রিকা, অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম খবর ২৪ ঘন্টা, পদ্মা টাইমস নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের নামে মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে যা সঠিক নয়।

তিনি আরো উল্লেখ করেন কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি বা ডাকাতি বা হয়রানির কথিত ঘটনার সাথে তারা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত নয়। একই সাথে বাংলাদেশের অপামর ছাত্র জনতার জনপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নাম জড়ানো অনভিপ্রেত ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। উক্ত প্রকাশিত এবং প্রচারিত সংবাদে হোটেল গ্র্যান্ডের সিসিটিভি ফুটেজে দেখে তাদের সনাক্ত করা হয়েছে বলে প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এরকম কোন সিসিটিভি ফুটেজ থাকা অবাস্তব ও অসম্ভব। কারণ বর্ণিত ঘটনার দিন ও সময়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফামিন ব্যক্তিগত দাওয়াতে রাজশাহীর উপকণ্ঠে বহরমপুরে অবস্থান করছিলেন ও সিটি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নাফি সেই সময় জিমে অবস্থান করছিলেন যার যথেষ্ট প্রমাণাদি আমাদের কাছে রয়েছে।

হোটেল গ্রান্ডের বর্ণিত কথিত ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে তাদেরকে সনাক্ত করা হয়েছে এমন তথ্য সংবলিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তাই তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনগণের সম্মুখে চ্যালেঞ্জ করে উল্লেখ করেন ঐ সিসিটিভি ফুটেজে (যদি থাকে) যদি তাদের উপস্থিতি প্রমাণ হয় বা ঘটনার সময় তাদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে পারলে আজীবন রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন বলে গনমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে রাজশাহীবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতি দেন তারা। বিভ্রান্তির এখানেই শেষ নয়, ঐ হোটেলের স্টাফ ও মালিকের আত্মীয় রনি এবং খোকনের বরাত দিয়ে তাদের সম্পৃক্ততার কথা বারংবার উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তুস্টাফদের সাথে তারা যোগাযোগ করলে তারা তাদেরকে চেনে না বলে জানিয়ে ছিলেন। একই সাথে হোটেল গ্রান্ড এর দায়িত্বশীলরা তাদেরকে নিশ্চিত করেছেন যে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দদের নাম নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করে বা জড়িয়ে কোন সংবাদ মাধ্যম বা সাংবাদিকদের কে তারা তথ্য দেননি। আপনারা প্রয়োজনে তাদেরকে অর্থাৎ হোটেল গ্র্যান্ড এর দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের নিকট জিজ্ঞাসা পূর্বক তাদের বর্ণিত বক্তব্যগুলি নিশ্চিত হতে পারবেন। তাহলে কি উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য ছাত্রদল এবং তাদের নাম ঐ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করা হলো? তা আমরা জানতে চান তিনি।

বিগত ৫ই আগস্ট দেশ নতুন করে শৃংখল মুক্ত হওয়ার পর থেকেই, একটি স্বার্থান্বেষী চক্র যারা ফ্যাসিবাদের তোষামোদকারী বা তল্পিবাহক ছিলেন, সুবিধা নিয়েছেন এবং বিভিন্ন কায়দায় ফ্যাসিবাদের সমর্থন অব্যাহত রাখতে চান তারাই সুপরিকল্পিতভাবে ছাত্রদল এবং ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের নামে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন। আদতে তারা বিএনপি বা ছাত্রদল বা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দদের নামে মিথ্যা তথ্য বা সংবাদ পরিবেশন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন যা ফ্যাসিবাদকে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা মাত্র। সাংবাদিকতা একটি সাহসী, পবিত্র ও দায়িত্বশীল মহান পেশা। কিন্তু গুটিকয়েক সাংবাদিক নামধারীদের হলুদ সাংবাদিকতায় বারবার এই পেশা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তারা এমন অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য সংবলিত সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। যাচাই-বাছাই হীন তথ্য প্রচারের মাধ্যমে তারা সামাজিকভাবে মানহানির শিকার হয়েছেন, মিডিয়া ট্রায়ালার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

চাঁদাবাজি বা ডাকাতি যেমন গুরুতর অপরাধ তেমনি মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে ব্যক্তিগত মানহানি, সামাজিক হয়রানি, সংগঠনের বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল করাও ঘৃন্য অপরাধ বলে যে কোন বিবেকবান মানুষ মনে করেন। এখানে উপস্থিত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী গুটিকয়েক সাধারণ মানুষ কখনোই ক্ষমতার দাস্তিকতা বা সুযোগের বা সুসময়ের অপব্যবহার করে কোন প্রকার অপকর্ম সমর্থন করে না। সময়ের পালা বদলে তারা দাম্ভিকতার মোহে পতিত জুলুমবাজ মাফিয়া গোষ্ঠীর মত একই আচরণ করার শিক্ষা অর্জন তারা করেননি বলেই বিশ্বাস করেন।

আশা করছেন সহযোগিতায় সত্য তথ্য প্রকাশিত হবে এবং একই সাথে বানোয়াট তথ্য সংবলিত সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পত্রিকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ আরো যাচাই-বাছাই পূর্বক সংশোধিত সংবাদ প্রকাশ করবেন অথবা প্রকাশিত ভুয়া সংবাদটি প্রত্যাহার করার কথা বলেন। অন্যথায় তাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin