মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন

পতিত সরকারের আমলে জনগণ ভোট দেয়নি,দিয়েছে পুলিশ :মিলন

  • প্রকাশ সময় শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পতিত সরকারের আমলে জনগণ স্বাধীনভাবে চলতে পারেনি। পারেনি ভোট দিতে। বাকশাল তৈরী করে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিলো খুনি হাসিনা। টাকা দিয়ে আইন শৃংলাবাহিনী নির্বাচনে সঙ্গে যুক্ত সকলকে ক্রয় করে একতরফা নির্বাচন করেছে। জনগণ ভোট না দিলেও ভোটের হার ছিলো ৮০ ভাগের উপরে। সে সময়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও ভোট দিতে পারেনি। কারন পুলিশ সকলের ভোট আগেই দিয়ে আওয়ামী প্রার্থীদের জিতিয়ে দিয়েছে বলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও কথা বলার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন। এই ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদশে আর কোন প্রকার সমস্যা থাকবেনা বলে উল্লেখ করেনি তিনি। তিনি বলেন, পতিত সরকারের সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিতারিত করে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন মাত্র ৩৬দিনে হয়নি। এই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে বিএনপিকে দীর্ঘ সতের বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। তবে তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলণকে কোনভাবেই খাটো করে দেখেন না। এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা এবং যারা অসুস্থ আছেণন এবং পঙ্গু হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবী জানান তিনি।

মিলন আরো বলেন, স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সারাজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্যই এই গণহত্যা করেছে। তিনি শেখ হাসিনা সহ সকল খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবী জানান। ১৯৯৬সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে যান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর থেকে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, পতিত সরকার দেশকে ধ্বংস করার জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিলো। পাঠ্যপুস্তকে শুধু মিথ্যাচার করা হয়েছে। সকল আদালতকে মুজিবীয় আদালত করা হয়েছিলো। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছিলো। শত শত নেতাকর্মীকে গুম এবং হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। শেয়ার বাজার ধ্বংস ও ব্যাংক বীমাসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। মেগা প্রকল্পের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কুইক রেন্টাল এবং পারমানিক প্রকল্পের নামে পুকুর চুরি করেছে হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা। যার তদন্ত শুরু করেছে দুদুক। এই টাকাগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন একজন সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষ। তাঁকে হত্যা করার পরে ষড়যন্ত্রকারীরা নানা ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন প্রপাকান্ডা করেছিলো। কিন্তু কোনটার সত্যতা পাওয়া যায়নি। সেই নেতার গড়া দল বিএনপি, জনগণ করছে। আর যারা বিএনপি করে তাদের কলিজা অনেক বড় বলে উল্লেখ করেন তিনি। কারন পনের বছরে কোন বিএনপি নেতাকর্মী বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। তাদেরকে মাঠে ঘুমাতে হয়েছে। এরপরেও তারা বিএনপি, যুবদল, কৃষকদল, ছাত্রদল,শ্রমিকদলসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন করা থেকে বিরত থাকেননি। এই সকল ত্যাগি নেতাদের নিয়ে দেশ গড়তে কাজ করছেন তারেক রহমান। তাঁর এই ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সেইসাথে প্রতি ওয়ার্ডে ৩১ দফা প্রচারের কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভা করার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার বিকেলে রাজশাহীর পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউয়িনের আলীগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন। বিশেষ াতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক।

সদস্য সচিব শাহিন রেজার পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি শওকত আলী, কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক শামীম রেজা, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, পবা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য আনারুল ইসলাম, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা ও তাইজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, আসাদুজ্জামন বাবু, রাজু আহমেদ ও হাসান।

এছাড়াও পবা উপজেলা যুবদলের সদস্য মাজদার রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান জিয়া, এডভোকেট তারেক, শফিকুল, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক হোসাইন হাসান ও সাদ্দাম হোসেনসহ হড়গ্রাম ইউনিয়ন ও পবা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নিহত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ, আহত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin