নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন বাংলার রাখাল রাজা, উন্নয়নের রুপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষনা দেননি। তিনি সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন এবং সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। অথচ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাক হানাদারবাহিনী বাংলাদেশের মানুষের উপরে হামলা করে এবং নির্বিচারে হত্যা শুরু করে তখন পাকিস্তানের সাথে আঁতাত করে শেখ মুজিবুর রহমান স্বেচ্ছায় পাকিস্তানে চলে যান। তিনি কখনো বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেন নি। এমনকি তাঁর আওয়ামী লীগের লোকজনও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়নি।
তারা ভারতে আমোদ ফুর্তিতে ছিলেন বলে রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে হাট রামচন্দ্রপুর কলেজ মাঠে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পূনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ এতোবড় একটি দল, তারাও তাদের স্বৈরাচারী আচরণ, গণতন্ত্র ধ্বংস, বিরোধী মতের ও সাধারণ জনগণের উপরে অমানষিক নির্যাতন, খুন, গুম, দিনের ভোট রাতে, এবং ডামি নির্বাচন করে দেশবাসীর কঠোর সমালোচনার মধ্যে পরে। এই খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে বিতারিত করতে বিএনপি দীর্ঘ ষোল বছর আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতার একতরফা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান ও বাংলাদেশের সব থেকে খারাপ ও স্বৈরাচার সরকার প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে নিজের প্রান বাঁচান। সেইসাথে তার দোসরা সবাই পারিয়ে যায়। কেউ কেউ আটক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি।
মিলন আরো বলেন, পতিত সরকারের আমলে একজন ডিআইজির নিকট হতে পনেরশত কোটি টাকা পাওয়া যায়। আরেক জনের স্ত্রী বলেন, বাজারে টাকা গুছিয়ে গুছিয়ে তিনি তিনশত কোটি টাকা বানিয়েছেন। তাহলে বলেন, সরকারের একজন কর্মচারী যদি এত টাকার মালিক হয় তাহলে খুনি হাসিনা কতশত কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের নামে চুরি করে পাচার করেছেন। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তলাবিহিন একটি দেশকে উন্নয়নের শিকরে নিয়ে যান। তাঁর মৃত্যুর পরে সুকেশ খুঁজে কোন অর্থ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পতিত সরকারের প্রধানের বোন, ছেলে, ভাগ্নি ও পিয়নও হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশটা ঘুনে ধরে গেছে। এই ঘুনে ধরা দেশকে সংস্কার কারার লক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচী দিয়েছেন। এই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশ আর কোন প্রকার সন্ত্রাস, অপরাজনীতি, লুটপাটসহ অন্যান্য কোন অপকর্ম থাকবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ধরনের কর্মসূচী করে সবার মধ্যে ৩১দফা সংস্কার কর্মসূচী সম্পর্কে অবহিত করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
কর্মী সমাবেশ ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী জেলার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, বর্তমান সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব মোখলেসুর রহমান রেন্টুর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, যুবদল রাজশাহী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, আসাদুজ্জামান বাবু ও হাবিবুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান রিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনকসহ পারিলা ইউনিয়ন ও পবা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নিহত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ, আহত এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।