নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর রামচন্দ্রপুর হাদির মোড়ে ফাঁকা জায়গায় সরকারী ট্যাপ কল পানি নেয়াকে কেন্দ্র করে মারপিটে দুই সহদর গুরুতর আহত হন। তারা উভয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন, রামচন্দ্রপুর হাদির মোড় এলাকার মুরাদ আলী দুই ছেলে সজল(৩০) ও রাহাত(৪০)। এ নিয়ে আহতদের ভাই সুরাজ আলী (৪২) আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় রাতে ১৯জনকে এজাহারভূক্ত এবং অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন মৃত হাসমত আলীর ছেলে তারিক (৩৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাজন (৩০), রনক (২৮), মুন্না (২৭), বাবু (২৫), রকি (২৪), রমজান আলীর ছেলে সনেট (৩০), আজাদ এর ছেলে রাকিব (২৬), রাসেল (২৪), হাসমত এর ছেলে হাসান (৩৫), ১১। লেবু মিয়ার ছেলে রাহুল (৩০), জয় (২৮), এনামুল হক ছেলে বিশাল (২৭), আনোয়ার হোসেন (৬৫), হাদির মোড় বৌ বাজার এলাকার রাসিক সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন (৫৫), ১৬। আনোয়ার হোসেনের ছেলে চায়না খাতুন (৫০), অনাথ সাহ এর মেয়ে ছবি খাতুন (৩৫), ও বেবী খাতুন (৪৫), হাদির মোড়, বাজে কাজলা (নদীর ধার) এলাকার লেবু মিয়ার স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৩৫), সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয় সোমবার বেলা অনুমান সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর ছোট ভাই সজল (৩০) তার বসত বাড়ির পাশে নদীর ধারে ফাকা জায়গায় সরকারী ট্যাপ কলে পানি আনতে গেলে উপরোক্ত বিবাদীগণ বেআইনীভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আলমগীর হোসেন (৫৫) এর হুকুমে আসামীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ভাইদের হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন। তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময়ে তার ভাইদের ডাক চিৎকারে তিনিসহ এলাকার অনেকেই এগিয়ে এসে মামলার সাক্ষীরা ও আরো অন্যান্য লোকজন মিলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।