নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে চাঁদাবাজী বাহিনীদের দৃষ্টান্ত সূলক শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী সচেতন নাগরিক সমাজ, বালু মহলে কর্মরত শ্রমিক ও মালিক। বৃহস্পিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় কোর্ট চত্বরের মানববন্ধন শেষে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র প্রদান করা হয়।
লিখিত অভিযোগ পত্রে মেসার্স মুন এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম উল্লেখ্য করেন, বাংলা ১৪৩১ সালে গোদাগাড়ী বালু মহলের নিলামে অংশ নিয়ে তার প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এই বালু মহলের ইজারা লাভ করে। গত ১লা বৈশাখ এই বালু মহল তাদেও নিকট জেলা প্রশাসন বুঝিয়ে দেয়। এরপর থেকে তারা নিয়ম মেনেই সেখান থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। গত ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতা গনঅভ্যুথ্যানের পরেও তারা নিয়মিত বালু উত্তোলন কার্যক্রম অব্যহত রাখেন। কিন্তু গত ২৩ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত্রি সাড়ে ১১ টায় সময় শেখের পাড়া প্রেমতলী বালু মহলে কর্মরত এক্সেবেটর ড্রাইভার রনি তাঁকে মুঠোফোনে জানায় ছাত্রদলের পরিচয় দানকারী টমাসের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি এসে বালু বহনকারী ট্রাক গতিরোধ করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে।
তখন তিনি টমাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এখান থেকে বালু উত্তোলন করতে হলে তাকে দৈনিক দশ হাজার টাকা অথবা এককালীন (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হবে কেন চাঁদা দিতে হবে। এই প্রশ্নের জবাবে টমাস জানান তিনি গোদাগাড়ী মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আহসানুল কবির টুকুর ডান হাত এবং তিনি গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক। তাকে চাঁদা না দিলে কোন ভাবেই এখান থেকে বালুু উত্তোলন করতে দেবেনা বলে জানান।
তিনি বলেন, পরিস্থিতির স্বাভাবিক করতে কয়েকবার টমাসকে অনুরোধ জানিয়ে অফিসে বসার আহবান জানান তিনি। কিন্তু তার ডাকে তিনি সাড়া না দিয়ে পুনরায় ২৪ শে ডিসেম্বর দুপুর ১ টায় দিকে টমাস, রাকিব, রাজব , শরিফুল, রফিকসহ ২০ থেকে ২৫ জন নিলে তাদের বালু মহলে গিয়ে হট্রোগোল করে পুরোপুরি বালু উত্তোলন বন্ধ করে দে। সেইসাথে তাদের শেখেরপাড়া বালু মহলের ক্যাশিয়ার হিটলারকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন।
এই সময় সেখানে সংবাদ সংগ্রহ করতে বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন, আরটিভি সহ জাতীয় পত্রিকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে বলে জানান। বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ায় তার প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিন আনুমানিক ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তাদের ভয়ে তারা সেখানে যেতে পারছেন না। সেখানে কর্মরত এক্সেবেটর ড্রাইভার, ট্রাক ড্রাইভারসহ দ্বায়িতে থাকা সকলকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে তাড়িয়ে দেয়।
মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, অনেক মানুষ কর্ম করে খায় অথচ একটি চক্র কিছু ফায়দা হাসিলের জন্য বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই তারা নিরুপায় হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পুনরায় যেন বালু উত্তোলন বহাল থাকে এবং ঐসকল চাঁদাবাজদের শাস্তির দাবী করেন তারা।