নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুদ্দিন টমাসের উপর বালু দস্যুদের বর্বর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় উপজেলার ফুলতলা এলাকায় এলাকাবাসীর আয়োজনে বালু দস্যুদের শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।
গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীর বালুমহাল ইজারা নিয়ে অবাধে নদীর তীরবর্তী এলাকার পলিমাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে পদ্মার তীরবর্তী রক্ষাবাঁধ ও তীরবর্তী গ্রামগুলো ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। পলিমাটি কাটার প্রতিবাদ করার কারণে গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মারধর ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও গোদাগাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন টমাস। তার বাড়ি বালুমহাল সংলগ্ন মাদ্রাসা মোড় এলাকায়। আহত সাইফুদ্দিন টমাস এখন উপজেলা (প্রেমতলী) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বালুমহাল ইজারা নেওয়ার পর থেকেই নদীর মাটি কাটা হচ্ছিল। কিন্তু ইজারাদার তৎকালীন ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকারের এমপি আসাদের লোক। আসাদ ও ইজারাদারের লোকজন ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে পদ্মা নদীর তীরবর্তী গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর স্থানীয়রা বালুমহালে মাটি কাটার প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। কয়েকদফা তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর/২৪ ইং উপজেলা সদরে মানববন্ধনও করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পদ্ম্না নদীর তীর ঘেসে পলিমাটি কাটা, সরকারি নিয়ম না মেনে বালু উত্তোলন ও রাস্তায় ওভার লোড বালু বহনকারী ড্রামট্রাক বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন এলাকাবাসী। এতে স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন। তারাও এলাকাবাসীর দাবির সাথে এক হয়ে দাবি জানায়। কিন্তু রহস্য জনক কারনে প্রসাশন ইজারাদারের পক্ষের ভুমিকা পালন করছে।
কোট চত্বরে রাজশাহী জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সার সরকার ডিকো, বাবু, সাজিমসহ বালু দস্যুরা টমাসের উপর বর্বর হামলা ও সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নির্যাতন করেছে। তাদের আইনের আওয়াতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করে বক্তারা বলেন, ‘যখনই ঘাটে মাটি কাটার প্রতিবাদ করা হয়, তখনই গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়। গত বছর তো ইজারাদার গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। আমরা বালুমহাল থেকে কোন চাঁদা চাই না। এই ইউনিয়নে কোন বালুমহালও চাই না।
এদিকে ইজারাদারের লোকজন একই এলাকায় কোদাল হাতে মানববন্ধনের চেষ্টা করলে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেলে তারা সেখান থেকে চলে যান। এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে সাজিম ও ডিকো বলেন, টমাস বালুঘাট থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। তাই সাধারণ জনগণ তাকে গণপিটুনি দিয়েছেন।