নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর ১৬নং ওয়ার্ডের কয়েরদাঁড়া লেকসিটি এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারী দেয়াল তুলে দেয়ায় ঐ জমির পশ্চিমের দিকে বসবাসকারী ও অন্যান্য জমির মালিকগণ চলাচল করতে পারছেন না। অত্র এলাকায় বসবাসকারী গৃহীনি ফাহিমা ও শিক্ষক জামানসহ আরো অনেক বলেন, মূল রাস্তা থেকে ভিতরে তারা দীর্ঘদিন থেকে বাড়ি করে বসবাস করছেন। আবার কেউ কেউ বাড়ি নির্মাণ শুরু এবং বাড়ি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ অবস্থায় শফিক নামে এক ব্যক্তি-চলাচলের রাস্তাসহ জায়গা বায়না করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
ফাহিমা বলেন, তারা এই রাস্তা দিয়ে সন্তানদের স্কুলে এবং অন্যান্য কাজকর্ম করতেন। বর্তমানে রাস্তা বন্ধ থাকায় যেখানে পূর্বে প্রধান সড়কে পৌঁছাতে সময় লাগত এক মিনিট। এখন সেই রাস্তায় পৌঁছাতে অনেক ঘুরে যেতে সময় লাগে প্রায় আধাঘন্টা। এদিকে শিক্ষক কামরুজ্জামান, হাফিজুর রহতান ও এনামুলসহ বসবাসকারী অন্যান্যরা বলেন, তারা বাড়ি তৈরীর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এ অবস্থার রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার নির্মাণ সামগ্রী তারা নিজ জায়গায় নিয়ে যেতে পারছেন না। এমনকি পায়ে হেটে তারা নিজ জায়গায় যেতে পারছেন না। তারা সবাই বলেন, যে ব্যক্তি জমি ক্রয় করে রাস্তা বন্ধ করেছে তার অত্যাচারে মৃত এক পুলিশ সদস্যর স্ত্রী নিজ জায়গা বিক্রি করে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এখন যদি রাস্তা খুলে না দেয়া হয় তাহলে ঐ বায়নাকারীর নিকট বাধ্য হয়ে, তাদের জমি অল্পদ্বরে বিক্রি করে চলে যেতে হবে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
তারা আরো বলেন, ঐ এলাকায় যাদের জমি ও বাগান রয়েছে তারাও পড়েছেন বিড়ম্বনায়। এদের মধ্যে রাজশাহী জজ কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট আব্দুল হাই বলেন, তাঁরও সেখানে একটি বাগানসহ জমি রয়েছে। ঐ বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। বাগান ও জমি রক্ষায় এখন তিনি বাগান এরিয়ায় বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করবেন। কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় তিনিও তাঁর জমিতে যেতে পারেছন না। ইতিপূর্বে এনিয়ে অত্র ১৬ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদকে বলেও কোন লাভ হয়নি।
তারা বলেন, আগে গেট লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখলেও এখন শফিক সেখানে ইটের দেয়াল তুলে দিয়েছেন। শুধু তাইনয় রাস্তা খুলে দিতে শফিক প্রতিজনের নিকট পাঁচ লক্ষ করে টাকা দাবী করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে করে তারা আরো বিপদে পড়ে গেছেন। তাদের এত টাকা দেযার মত কোন অবস্থা নেই। তারা বলেন, ইতিপূর্বে এবিষয়ে রাসিক ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ বাউন্ডারী ও’ গেট নির্মাণ করে যিনি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন তাঁকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেখা না করায় সে সময়ে কাউন্সিলর কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন নি। এখন শফিক পাকা বাউন্ডারী দেয়ার প্রতিবাদ জানান । সেইসাথে তাঁরা সকলেই চলাচলের রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দিয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে শফিক এর কোন মোবাইল নম্বর না পাওয়ায় তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।