নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বড়কুঠি এলাকায় রাস্তা ও বাঁশের সাঁকো তৈরী করা হয়েছে। সেই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে মানুষ, রিকশা, মোটরসাইকেল ও পণ্যবাহী ভ্যান। সেখান থেকে বৈধভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে। বড়কুঠি পদ্মার পাড়ে বসে ইজারাদারের লোক জনপ্রতি টোল আদায় করছেন নিয়ম মাফিকভাবে। ইজারাদার হেতম খাঁ সবজি পাড়ার শাহজাহান হোসেন এর ছেলে মোসাদ্দাত হোসেন তুহিন বলেন, সম্পুর্ন নিয়ম মেনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন থেকে বিষপুর ফেরীঘাট ইজারা নেন।
এর জন্য তাঁকে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের মেয়াদে টোল আদায়ের অধিকারের জন্য সমুদয় টাকা অর্থাৎ ৯,১০,৫৫৫.০০ (নয় লক্ষ দশ হাজার পাঁচশত পঞ্চান্ন) টাকা রাসিক এর তহবিলে জমা প্রদান করতে হয়েছে। শুধু তাইনয়। তাঁকে ১০% আয়কর ৯১,০৫৬.০০ (একানব্বই হাজার ছাপান্ন) টাকা ও ১৫% মূল্য সংযোজন কর ১,৩৬,৫৮৪.০০ (এক লক্ষ ছত্রিশ হাজার পাঁচশত চুরাশি) টাকা অগ্রণী ব্যাংক লিঃ নগর ভবন (মাদ্রাসা মার্কেট) শাখা রাজশাহীতে জমা প্রদান করতে হয়েছে। এরপর থাঁকে বিষপুর ফেরীঘাটটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্তে ১৪৩১ (বৈশাখ-চৈত্র) বঙ্গাব্দের মেয়াদে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তুহিন আরো বলেন, তিনি রিতিমত সরকারকে অর্থ প্রদান করে এই ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন। সেহেতু বৈধভাবে তিনি টোল আদায় করছেন। এ নিয়ে তথ্য না জেনে সম্পুর্নভাবে শত্রুতার বশবত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পত্রিকার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যা সত্যনয়। তথ্য জেনে খবর প্রকাশ করার জন্য তিনি প্রতিবেদকদের অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, যেখানে বাঁদ দেয়া হয়েছে সেখানে পদ্মার কোন পানি প্রবাহ নাই। এছাড়া ঐ খালের উপরে সম্পূর্ন বাঁধ প্রদান করো হয়নি। বাঁশের সাঁকো করে দেয়া আছে। সেখান দিয়ে শহরের ড্রেনের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই পানি প্রবাহিত হতে কোন বাধা হচ্ছেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।