নিজস্ব প্রতিবেদক: অতীতের সকল গ্লানি ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে ২০২৫ বর্ষবরণে ব্যানারে আনান্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সমবেত হয়ে সেখান থেকে বর্নাঢ্য র্যালি বের করেন। আনন্দ র্যালি নিয়ে তারা মনি চত্বর, সোনাদীঘি মোড়, গণকপাড়া মোড় ও আলুপট্টি মোড় হয়ে পুনরায় সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন।
র্যালি ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সভাপতি আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফরিদ মামুদ হাসান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি রাজশাহীর শাখার সভাপতি গোলাম সারওয়ার স্বপন, আর.ডি.এ কর্তৃক পূনর্বাসিত সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতি সাহেব বাজার রাজশাহী সাধারণ সম্পাদকফরাদ মাদুদ হাসান, প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব খন্দকার শামসুল হক (লায়ন), রাজশাহী চেম্বার অফ কমার্স পরিচালক ইন্ডাস্ট্রিজ সাদরুল আমিন, যুবদল রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, আর.ডি.এ কর্তৃক পূনর্বাসিত সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতি সাহেব বাজার রাজশাহী সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসূল (বাবুল), সাহেব বাজার বস্ত্র মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামীম আহমেদ ও সাহেববাজার পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রিপন। এছাড়াও র্যালিতে প্রায় ২৫০ জন ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পথসভায় ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, আর কোন রক্তঝরা বাংলাদেশ দেখতে চাই না। একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চায় ব্যবসায়ী পরিষদ। বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে রাজশাহী ব্যবসায়ীগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই ঐক্য ধরে রাখার জন্য ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ র্যালির মাধ্যমে বিগত দিনের সকল গ্লানি দূর করে ব্যবসায়ীগণ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে তারা আশাব্যাক্ত করেন।
তারা আরো বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে শাসনামলে,ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঐক্য ছিল না। দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসায়ীরাতাদের স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারে নাই। বর্তমানে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় স্বাধীন মত প্রকাশ করার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তারা। তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা আর অবহেলিত থাকতে চায়না। বিগত দিনে ব্যবসায়ীদের কোন দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে সকল ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। আগামী দিনগুলোতে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে,সাধারণ জনগণ সুফল ভোগ করবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে ব্যবসায়ীদের নিষ্ঠা সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করার আহ্বান জানান তারা। পরিশেষে,৫ই জানুয়ারি ব্যবসায়ী মুক্ত দিবসের ঘোষণা করে এবং প্রতিবছর ৫ই জানুয়ারি ব্যবসায়ী দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানিয়ে আনন্দ র্যালি ও পথসভাটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেন তারা।