নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার এবং সর্বোচ্চ তিন পার্সেন্ট করার দাবীতে বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন থেকে সর্বোচ্চ তিন পার্সেন্ট ভ্যাট করার দাবী জানানো হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর সভাপতি ও বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান রিংকু। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খাঁন।
উপস্থিত ছিলেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার উপদেষ্টা এহসানুল হুদা দুলু, সহ-সভাপতি হাসিনুর রহমান টিংকু, সহ-সভাপতি এস এম সিহাব উদ্দিন, মাহবুব আলম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, রাশেদ ইসলাম ও প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী খান, আইটি সম্পাদক নাবিলা নওরিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সোনিয়া খাতুন, নির্বাহী সদস্য অলিভ, গোলাপ সরদার ও মুর্শেদ শাকিলসহ বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার অন্যান্যা মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্যরা বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে রেস্তোরাঁ ব্যবসা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠিন সংকটে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বৃদ্ধি করা অযৌক্তিক ছিলো। যা তাদের আন্দোলনের কারনে এনবিআর বৃহস্পতিবার তা কমিয়েছে। কিন্তু তাদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো রেস্তোরা ব্যবসার জন্য ৫% ভ্যাট এর পরিবর্তে ৩% করার জন্য। এটা যদি না করা হয় তাহলে ব্যবসায়ীদের উপর জুলুম হবে। যেভাবে বাংলাদেশের মানুষ ১৫% ভ্যাট প্রত্যাখান করেছে একই ভাবে ৫% ভ্যাট জনগণ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করেন।
ভোক্তাদের উপর চাপ কমাতে ব্যবসায়ীরা বর্তমান ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার দাবি জানান। কিন্তু সরকার এটি তিনগুণ বাড়িয়েছিলো। এতে করে গ্রাহকদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়তে যাচ্ছিলো। শেষ সময়েও সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়াতে জনগণ ও ব্যবসায়ীরা অনেকটা স্বস্তি পেয়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে মানুষজন হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাওয়া কমিয়ে দিতো। বর্তমান পরিস্থিতিতে করের আওতা না বাড়িয়ে এবং কর ফাঁকি প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিয়ে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি হঠকারী সিদ্ধান্ত ছিলো। ভবিষ্যতে ভ্যাট বাড়ানোর তালবাহানা থেকে বিরত থাকার জন্য অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধন থেকে তারা ভ্যাটের হার ৩% করা এবং স্টীটফুড সহ সকল প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনা, সম্পূরক শুল্ক এস.ডি নামক অতিরিক্ত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা, দোকান ভাড়ার উপরে ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার করা, ভ্যাট আদায়ের নামে মামলা ও প্রিভেন্টিভ ভীতি প্রদান হতে বিরত থাকা এবং ভ্যাট আদায়কারী ব্যবসায়ীদের সাথে সম্মানজনক আচরণ করা, রেস্তোরাঁ খাতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ছাড়পত্র ব্যতীত কাউকে ট্রেড লাইসেন্স না দেয়া, রেস্তোরাঁ শিল্পের উপর যে কোন সিদ্ধান্ত আরোপের পূর্বে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাথে আলাপ করা ও রেস্তোরাঁ শিল্পকে সরকারি প্রনোদনার আওতায় আনা এবং স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋন প্রদান করার দাবী জানান তারা। মানববন্ধন শেষে তাঁরা জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।