নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত সতের বছরে এত খোলামেলাভাবে সময় নিয়ে কোন কর্মসূচী করতে দেয়নি ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসর ও পুলিশলীগ। শান্তিপূর্ন সমাবেশ ও আলোচান সভাসহ নানা কর্মসূচীতে বাধা প্রদান করেছে তারা। এমনকি মারপিট করে নেতাকর্মীদের আহত করছে। বিনা কারনে পুলিশ সহ অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যা তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে প্রেরন ও অর্থ বাণিজ্য করেছে ঐ স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসররা।
বুধবার বিকেলে পবা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী খুনিনাকে সর্বকালের সর্ভশ্রেষ্ট স্বৈরশাসক আখ্যা দিয়ে মিলন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫আগস্ট ফ্যাসিস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ধেশ থেকে পালিয়েগিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। তার অনুসারীরা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে থেকে তা বাস্তবায়নের জন্য চেষ্ঠা করছে। কিন্তু তা কোনদিন আর পূর্ন হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, যার জন্ম না হলে দেশ হয়তো স্বাধীন হতনা, ১৯৭৫ পরবর্তী দেশের হাল না ধরলে তলাবিহিন ঝুড়ি তেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হতনা। ঘটত না কৃষি খাতে বিপ্লব। তিনি হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাসদস্য হিসেবে বিরত্বের সাথে যুদ্ধ করে। এজন্য তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তাকে পুরস্কৃত করেন।
মিলন বলেন, ২৫ মার্চ যখন শেখ মুজিবুর রহমান স্বেচ্ছায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে আত্মসমর্পন করে দেশ থেকে পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যান, তখন বাংলার মানুষ অথৈ সাগরে পড়েন। দেশের এই অবস্থা দখে তিনি নিজের স্ত্রী সন্তানদের অনিরাপদে রেখে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে চলে এসে ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের বুকে আশার সঞ্চার ঘটান। তাঁর ডাকে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ঝাপিয়ে পড়ে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধ করেদেশকে স্বাধী করেন। তিনিও সম্মুখ যুদ্ধ করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার প্রতি কোন লোভ ছিলোনা। য্দ্ধু শেষে স্বাধীন দেশে তিনি আবারও ব্যারাকে ফিরে যান। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান দেশে এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে হটিয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেন। মেজর জিয়াউর রহমানকে প্রমোশণ বা পুরস্কৃত না করে তিনি শফিউলকে সেনা প্রধান করেন এবং এক সময়ে মেজর জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে রাখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে খুন হলে সিপাহী জনতা বিপ্লব করে মেজর জিয়াকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন। সেইসাথে তাঁর উপরেই ক্ষমতার ভার তুলে দেন। এরপর তিনি দল গঠন করেন। সেইসাথে দেশে তলাবহিন ঝুড়ি থেকে উত্তরনের জন্য কৃষিতে মনোনিবেশ করেন।
মিলন বলেন, শুধু তাইনয় তিনি বহির্বিশ্বের সাথে যোগযোগ করে স্বীকৃতি আদায় এবং সার্ক ও ওআইসি গঠন করেন। ইরাক ইরান যুদ্ধ তিনি মিমাংশা করে দেন। নিজ হাতে কোদাল ধরে খান খনন করেন। এভাবেই তিনি দেশের মানুষের নিকট জনপ্রিয় নেতাতে পরিণত হন। অথচ খুনি হাসিনা মেজর জিয়াউর রহমানকে রাজাকার হিসেবে প্রচার করতো। জনগণকে পতিত সরকারের প্রেতাত্তাদের কল থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি প্রফেসর ড. ইঞ্জিঃ আখতার হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ ও পারিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব মোখলেসুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক এনামুল হক কনক, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক আলহাজ¦ মজিবর রহমান, কাশিয়াডাঙ্গা থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক শামীম রেজা, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রমজান আলী, পবা বিএনপি নেতা বাদশা ও বাবলু, যুবদল পবা উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, হাবিব, শফি, আবুল কাশেম, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দরের আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান মামুন ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজসহ রাজশাহী জেলা ও পবা উপজেলা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।