শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পবার হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের কৃষক সমাবেশ রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ রাজশাহী স্যানেটারি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির বনভোজন রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ইউসেপ রাজশাহী অঞ্চলে সোশ্যাল ইনক্লুশন টিমের নেটওয়ার্কিং সভা নারীর উন্নয়ন পুরুষদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়:কেয়া খান ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ড্যাব) রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন আহত বিএনপি নেতা শাওয়াল এর পাশে বিএনপি নেতৃবৃন্দ পতিত সরকারের দোসররা দেশে আবারও বিশৃংখলা করার পাঁয়তারা করছে:ঈশা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

পবায় একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

  • প্রকাশ সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১৬ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবায় যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণের ১০ মিনিট আগেই থানার সামনে পুলিশের সঙ্গে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখা গেছে। এমন ভিডিও হাতে পাওয়ার পর যুবদলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) এয়ারপোর্ট থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত থানার সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে থানার সামনে দিয়ে এক লেনে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

এর আগে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা থেকে ভুগরইল বটতলার মোড়ে জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এয়ারপোর্ট থানার সামনে যান। পরে অত্র থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা সেখানে চলে যান।

গত ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে পবার ভুগরইল গ্রামে যুবদল নেতা মিন্টুর বাড়ির ঘরের দরজা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। দরজা ভেদ করে যাওয়া একটি গুলিতে আহত হন মিন্টুর বাবা আলাউদ্দিন। পরদিন দুপুরে শরীর থেকে গুলি বের করার সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারেই তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রাজশাহীর শাহমখদুম থানায় ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ১৪ জানুয়ারি রাতে একটি আপস-মীমাংসার জন্য দুইপক্ষ এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিলেন। সেখানে ছিলেন যুবদল নেতা মিন্টুও। রাতে তিনি থানা থেকে যাওয়ার পরই তার বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। যারা গুলিবর্ষণ করে, তারাও ঐ রাতে আপস-মীমাংসার জন্য থানায় এসেছিলেন। ঘটনার ১০ মিনিট আগেও কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে থানার সামনে তাদের আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

বিক্ষোভে ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই বলছি না যে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে গিয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করেছে। তবে আমরা ভিডিও পেয়েছি, তাতে দেখা যাচ্ছে থানার সামনে সাদাপোশাকে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সন্ত্রাসীরা কথা বলছে। এ থেকে বোঝা যায়, পুলিশ তাদের প্রত্যেককে চেনে। এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ যেন শাহমখদুম থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করে, সেই দাবি নিয়ে আমরা থানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম।

সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের ভিডিও থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানার ওসি ফারুক হোসেন বলেন, ‘তারা দুপক্ষ সেদিন রাতে আপস-মীমাংসার জন্য বসেছিলেন। সুন্দরভাবে আপস-মীমাংসা হয়ে যাওয়ার পরে তারা চলে যান। তারপর কে কী ঘটনা ঘটিয়েছে, তার জন্য পুলিশের ওপর দায় আসতে পারে না। তবুও বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

তিনি বলেন, ১৩০-১৪০ জন ব্যক্তি থানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। আমি তাদের বুঝিয়েছি মামলা তদন্ত হচ্ছে শাহমখদুম থানায়। এই থানার সামনে বিক্ষোভ করা যুক্তিসংগত নয়। তদন্ত কর্মকর্তা কোনো সহায়তা চাইলে অবশ্যই করা হবে। এরপর ১০-১৫ মিনিট পর বিক্ষোভ শেষ করে তারা চলে গেছেন।’

উল্লেখ্য আলাউদ্দিন খুনের ঘটনায় শাহমখদুম থানা-পুলিশ এ পর্যন্ত আব্দুল্লাহ (২৬) ও ওবায়দুল (২২) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এজাহারভুক্ত আরও ৩৫ আসামি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। বিক্ষোভ থেকে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin