নিজস্ব প্রতিবেদক: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার তারেক রহমানের ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকে খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হয়। লক্ষ্মীপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে শুক্রবার বাদ জুম্মা রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুওে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক,রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেকক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
লক্ষ্মীপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাকিবুল হাসান রাজিব এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম সারওয়ার স্বপন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র অন্তর্গত ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি গোলাপ নবী গোলাপ, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহ্বায়ক বজলুর রহমান কচি, সদস্য সচিব আতাউর রহমান, জাসাস রাজশাহী মহানগরের সদস্য সচিব সেলিম রেজা, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইকবাল বারী, হাজি হোটেলেল মালিক আব্দুল গাফ্ফারসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনেরর অণ্যান্য নেতাকর্মী ও অত্র সমিতির সকল সদস্যগণ।
খাবার বিতরনের পূর্বে আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ইন্তেকাল করেন। আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজে লেখাপড়া করেন।২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন কোকো। এছাড়া ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসলে, ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মা খালেদা জিয়ার সাথে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৮ জুলাই চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্যাংককে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানেই সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শর্মিলা রহমান তাবাসুম, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে গেছেন।