নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীতে মাত্র ২৯ মাসে বহুতল ভবন নির্মাণ করে ক্রেতাদের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করে আবারও দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অন্যতম ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সুকর্ণা ডেভেলপারস। শনিবার সন্ধ্যায় ৬ষ্ঠ বারের মত নগরীর ঘোষপাড়া মোড়ে সৈয়দ আলী টাওয়ার নামে নব-নির্মিত ১০ তলা বিশিষ্ঠ আধুনিক মানের বহুতল ভবন নির্মাণ শেষে ক্রেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফ্ল্যাট হস্তান্তর উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সুকর্ণা ডেভেলপারস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার তাজুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত থেকে ক্রেতাদের মাঝে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুকর্ণা ডেভেলাপারস’র পরিচালক শামিমুল ইসলাম মুন।
ফ্ল্যাট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সুকর্ণা ডেভেলপারস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিয়েল এসেস্ট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তৌফিকুর রহমান লাভলু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুকর্ণা ডেভেলাপারস’র পরিচালক আব্দুল মান্নাফ মুন্না, ওয়াসিফ ইসলাম ও খন্দকার তাওহীদ ইসলামসহ ল্যান্ড ওনার ও ফ্ল্যাট ক্রেতারা।
সুকর্ণা ডেভেলাপারস’র পরিচালক ওয়াসিফ ইসলাম জানান, সাড়ে ৭ কাঠা জমির উপর এই আধুনিক মানের সৈয়দ আলী টাওয়ার নামে বহুতল ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের ক্ষেত্রে উন্নতমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে এই ভবন যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহনশীল। ১০ তলা এই ভবনের রয়েছে তিনটি ইউনিট।
তিনি জানান, গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ক্রেতাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেয়া ছিল তিন বছরের মধ্যে এই ভবনটি বুঝিয়ে দেয়া হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা মধ্যেও এবং ভবন নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্য হলেও তাঁরা নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করেছেন। একই সাথে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়েও দেয়া হলো।
তিনি বলেন, সুকর্ণা ডেভেলপারস-এর এখন পর্যন্ত পাঁচটি প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের আগে ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ৬ষ্ঠ নম্বর ভবন বুঝিয়ে দেয়া হলো। বর্তমানে সুকর্ণা ডেভেলপারস-এর অধিনে ছয়টি বহুতল ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই ছয়টি ভবনও নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করে ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।